রবিবার সকালে বাজপেয়ীর চিতাভস্ম নিয়ে আসা হবে কলকাতায়

Spread the love
কলকাতার সঙ্গে অটলবিহারী বাজপেয়ীর সম্পর্ক ছিল বহুদিনের। রাজনীতি, স্বজন-বন্ধু, লিবার্টি সিনেমা, ফুচকা, ইলিশ মাছ মায় সে সম্পর্ক আবেগেরও বটে। শুক্রবার প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে দিল্লিতে যমুনার তীরে রাষ্ট্রীয় স্মৃতি স্থলে। চব্বিশ ঘণ্টা পর বিজেপি নেতারা জানাচ্ছেন, রবিবার সকালে বাজপেয়ীর চিতাভস্ম নিয়ে আসা হবে কলকাতায়।
রাজ্য বিজেপি-র মুখপাত্র সায়ন্তন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রবিবার সারা দিন ৬ নম্বর মুরলীধর লেনে রাজ্য বিজেপি-র সদর দফতরে বাজপেয়ীর চিতাভস্ম রাখা থাকবে। যাতে সাধারণ মানুষ, দলের কর্মী ও সমর্থকরা প্রয়াত প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানাতে পারেন। তার পর সোমবার চিতাভস্মের কলস নিয়ে শোকযাত্রা করে রওনা দেওয়া হবে গঙ্গাসাগরের উদ্দেশে। বঙ্গোপসাগর ও গঙ্গার মোহনায় চিতাভস্ম ভাসিয়ে দেওয়া হবে।
শুধু গঙ্গাসাগরে নয়, বাজপেয়ীর চিতাভস্ম ভাসানো হবে হরিদ্বার থেকে শুরু করে উত্তরপ্রদেশে গঙ্গার সব বড় ঘাটে। সেই সঙ্গে উত্তরপ্রদেশে যত নদী আছে সেখানেও ভাসানো হবে চিতাভস্ম। তা ছাড়া মধ্যপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, উত্তরাখণ্ডের বিজেপি নেতৃত্বও তাঁদের রাজ্যে চিতাভস্মের কলস নিয়ে যাচ্ছেন। স্থানীয় নদীতে তাঁরা তা ভাসিয়ে দেবেন। বিজেপি সূত্র জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত এটুকু ঠিক আছে। তবে শেষ পর্যন্ত দেখা যাবে সব রাজ্যেই একটু করে চিতাভস্ম নিয়ে যাওয়া হবে। তার পর সেখানকার নদীতে বা বড় হ্রদে ভাসানো হবে। তাঁদের কথায়, বাজপেয়ী ছিলেন প্রকৃত রাষ্ট্রনেতা। তাঁকে নিয়ে গোটা দেশের মানুষের আবেগ রয়েছে।
অতীতে রাজীব গান্ধীর মৃত্যুর পরেও এমনই আবেগ ঝরে পড়েছিল গোটা দেশ জুড়ে। রাজীবে চিতাভস্ম বাংলাতেও আনা হয়েছিল। তার পর একই ভাবে শোক যাত্রা তা গঙ্গাসাগরে ভাসিয়ে দেওয়া হয়।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*