আজ থেকে আগামী ১৫ দিন কার্যত লকডাউন গোটা বাংলায়। করোনায় ত্রস্ত আম বাঙালি কিন্তু বাজার করতে পিছপা হচ্ছেন না। সকাল ৭-১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বাজার-দোকানপাট। করোনা আতঙ্কের মাঝেই সক্কাল সক্কাল বাজার সেরে নিতে চাইছেন অনেকেই। রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় বাজারের ছবি ভয় ধরাচ্ছে মনে।
বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে রাস্তাঘাট শুনশান হলেও, বাজারহাটে ভিড় উপচে পড়ছে ক্রেতাদের। সকালে বাজার-দোকান এবং হাটে ভিড় চোখে পড়ার মতো। অনেকেই মুদি দোকানের পণ্যের তালিকা তৈরি করে ভিড় জমিয়েছেন। আগামী বেশ কয়েকদিনের জন্য চাল-ডাল-ডিম ঘরে মজুত করে রাখতে চাইছেন অনেকেই।
পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের ক্ষেত্রেও দেখা গিয়েছে একই ছবি। বাজারগুলিতে ভিড় চোখে পড়ার মতো। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রীতিমতো লাঠি হাতে রাস্তায় নামে পুলিশ। পূর্ব মেদিনীপুরের মেচেদা, নন্দীগ্রামেও দেখা গেল একই ছবি। সবজি-মাছ বাজারে মানুষের ভিড়।
এদিকে আবার কলকাতায় বেশ কয়কটি বাজারের চিত্র বদলে গিয়েছে। করোনা আতঙ্কে বাজার ফাঁকা বলেই দাবি গড়িয়ার বাজারের বিক্রেতাদের। পাটুলিতেও চলছে পুলিশের কড়া নজরদারি। কার্যত লকডাউন জারির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ক্রেতারা।
তবে সরকারিভাবে জানানো হয়েছে, সোম থেকে শনিবার পর্যন্ত সকাল-সন্ধ্যে খোলা থাকবে রেশন দোকান। ছাড় রয়েছে জরুরি পরিষেবায়। ই কমার্স ও হোম ডেলিভারিতে। মুদিখানা ও বাজার সকাল ৭-১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ছাড়া রাজ্যের ভিতরে ট্রাক ও পণ্যবাহী গাড়ি বন্ধ থাকবে। ওষুধের দোকান ও চশমার দোকান খোলা থাকবে।
জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত দফতরগুলি ছাড়া সমস্ত সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ। বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও। শনিবারই এ কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। এটিএম পরিষেবা স্বাভাবিক থাকলে ব্যাঙ্ক সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত খোলা থাকবে।
Be the first to comment