অসুস্থ বিকাশ মিশ্রকে এজলাসে নিয়ে গেলেন সিবিআই অফিসার, ফের নাকচ জামিন

Spread the love

কয়লা ও গরু পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত বিকাশ মিশ্রকে আপাতত দু’ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেেশ দিল আদালত। তাঁকে ফের তোলা হবে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে। বিকাশ মিশ্রেরর ২ দিনের জেল হেফাজত হয়েছে। শনিবার বিশেষ সিবিআই আদালত বন্ধ থাকায় অন্য কোর্টে তোলা হয়।

আসানসোলের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে শুক্রবারই কয়লা পাচার কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত বর্তমানে ফেরার থাকা বিনয় মিশ্রর ভাই বিকাশ মিশ্রকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তাঁর জামিন নাকচ করে দিয়ে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী বলেছিলেন, বিকাশ মিশ্র যেদিন সুস্থ হবে, সেদিন তাকে এজলাসে হাজির করতে হবে। কিন্তু সেই নির্দেশের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই শনিবার সন্ধ্যা ছ’টার পরে তড়িঘড়ি সিবিআই অসুস্থ বিকাশকে কলকাতার নিজাম প্যালেস থেকে সোজা আসানসোল আদালতে আনে।

নিয়ম মতো শনিবার ও রবিবার সিবিআই আদালত বন্ধ। তাই এদিন সন্ধ্যায় শুনানি হয় আসানসোল আদালতের সিজিএমের দায়িত্বে থাকা চতুর্থ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অর্পিত ভট্টাচার্যর এজলাসে। কিন্তু বিকাশ মিশ্র এতটাই অসুস্থ যে, তাঁর পক্ষে গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে এজলাসে যাওয়া সম্ভব হয়নি। সিবিআইয়ের এক অফিসার তাঁকে রীতিমতো পাঁজাকোলা করে এদিন এজলাসে নিয়ে যান।

প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে চলা মামলার শুনানিতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আইনজীবী রাকেশ কুমার বিচারকের কাছে বিকাশের জামিন নাকচ করে সিবিআইয়ের হেফাজতে চান। সিবিআইয়ের আইনজীবীর পাল্টা সওয়ালে বিকাশ মিশ্রর আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ বলেন, মক্কেল খুবই অসুস্থ। তিনি কলকাতায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তাঁকে আরও বড় হাসপাতালে ভর্তি করার দরকার। তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা ভেবে জামিন দেওয়া হোক।

শনিবার দু’পক্ষের আইনজীবীর দীর্ঘ সওয়াল-জবাব শেষে বিচারক বিকাশ মিশ্রের জামিন আরও একবার নাকচ করে দেন বিচারক। বিচারক নির্দেশ দিয়ে বলেন, এটা সিবিআই আদালতের মামলা। তাই বিকাশ মিশ্রর জামিন নাকচ করে দিয়ে দু’দিনের জেল হাজতের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি এই দু’দিন জেলে তাঁর যাতে ঠিক মতো চিকিৎসা করা হয়, তার জন্য জেল সুপারকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, গত ১৬ মার্চ গরু ও কয়লা পাচার মামলা সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগ বিকাশ মিশ্রকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। পরে তাঁকে সিবিআই রিমান্ডেও নিয়েছিলো। কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে মেডিকেল রিপোর্টের ভিত্তিতে সিবিআই আদালত তার অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে আসানসোলের সিবিআই আদালত। সেটা গত এপ্রিল মাসের ঘটনা।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*