ইয়াসের গতি সংক্রান্ত পূর্বাভাস কিছুটা হলেও বদলালো। নির্ধারিত সময়ের আগেই ল্যান্ডফল করবে ইয়াস। ওড়িশার দিকেই আরও বেশি করে বাঁক নিয়েছে ইয়াস। আবহাওয়াবিদরা আগে জানিয়েছিলেন, বালেশ্বরের ল্যান্ডফল করবে ইয়াস। এখন জানা যাচ্ছে, বালেশ্বরের আরও দক্ষিণ দিকে অর্থাৎ আরও বেশি ওড়িশার দিকে ইয়াসের আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের শেষ বুলেটিন অনুযায়ী, ল্যান্ডফল হতে পারে ভদ্রক ও বালেশ্বরের মাঝে, যা বাংলার জন্য আরও কিছুটা স্বস্তির খবর। কারণ পশ্চিমবাংলার উপকূল থেকে ইয়াসের দূরত্ব তাতে আরও কিছুটা বাড়ছে।
পাশাপাশি আবহাওয়াবিদরা এটাও জানিয়েছেন, ইয়াসের ল্যান্ডফলের সময়সূচি আস্তে আস্তে এগিয়ে আসছে। সেটা দুশ্চিন্তার কারণ। আগামিকাল, বুধবার পূর্ণিমা রয়েছে।
এদিকে দিঘা থেকে ইয়াসের দূরত্ব আরও কমে গিয়েছে। এখন দিঘা থেকে ৩৭০ কিমি দূরে রয়েছে ইয়াস। ইতিমধ্যেই জোয়ারে উত্তাল সমুদ্র। দিঘার কয়েকটি এলাকায় বাঁধ ছাপিয়ে গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করেছে। বাসিন্দাদের আরও দ্রুত নিরাপদে সরানোর ওপর নজর দেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যেই দিঘা শঙ্করপুর ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অধিদফতরে বৈঠক হয়। ঘূর্ণিঝড় পূর্ববর্তী ও পরবর্তী পরিস্থিতিতে মোকাবিলা নিয়ে আলোচনা হয়। বাঁধগুলির বর্তমান কী অবস্থা রয়েছে, তা নিয়ে আলোচনা হয়। উপকূলবর্তী এলাকার মানুষদের উদ্ধার করে আরও দ্রুত কীভাবে নিরাপদে নিয়ে যাওয়া যায়, তা নিয়েও আলোচনা হয়। বৈঠকে ছিলেন জ্যোতির্ময় কর, রাজ্যের দুই মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, অখিল গিরি।
পূর্ব মেদিনীপুর থেকে ১ লক্ষ ৫২ হাজার বাসিন্দাকে এখনও পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয় সরিয়ে আনা হয়েছে। রামনগর ১, রামনগর ২, এগ্ররা ১ ও ২, পটাশপুর ১, পটাশপুর ২, নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লক থেকে সবচেয়ে বেশি মানুষ নিরাপদে সরানো হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটের বুলেটিনে মৌসম ভবন জানিয়েছে, রাজ্যের একাধিক জেলায় বৃষ্টির তীব্রতা কিছুটা কমবে। মঙ্গলবার থেকেই পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া ও হুগলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বুধবার অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে দুই মেদিনীপুরে।
Be the first to comment