রোজদিন ডেস্ক :- আমরা কোন ধর্মের ও বর্ণের ওপর আক্রমণকে সমর্থন করি না। আমরা চাই মন্দিরও থাকুক, মসজিদও থাকুক। গত এক বছর ধরে বাংলাদেশে যা ঘটেছে তার রেশ এখনো চলছে। আমরা কোন ঘটনাকেই সমর্থন করছি না। যা ঘটেছে তা চরম নিন্দনীয়।
ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেনের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে রাঁচিতে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এটি দুটি দেশের ব্যাপার। ভারত সরকার ও বাংলাদেশ সরকার পরস্পরের মধ্যে কথা বলবেন। এতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে যুক্ত করা হয় না। আমরা অনেক কিছুই জানতে পারি না। তিস্তা চুক্তি যে হয়ে গেছিল তাও আমরা পরে জেনেছি।
বাংলাদেশ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন ওটি একটি আলাদা দেশ। আমাদের দেশ ভারতবর্ষ একটি আলাদা দেশ। ভারত সরকার বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। তৃণমূল কংগ্রেসের এবিষয়ে স্পষ্ট স্ট্যান্ড হল এই ধরনের ঘটনায় ভারত মন্ত্রকের যে সিদ্ধান্ত হবে তাকে তৃণমূল কংগ্রেস যখন যে সরকার কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকবে তাকে সমর্থন করবে।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট বলেন, ‘কোন ধর্মের ওপর, কোন বর্ণের ওপর, কোনো জাতির ওপর অত্যাচার আমরা মানি না। আমরা সবাই এক। সেই হিন্দু হোক অথবা মুসলমান, অথবা বৌদ্ধ কিংবা খ্রিস্টান।’ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশ যেমন আমাদের ভালোবাসে আমরা ভারতবর্ষ বাংলাদেশকে ভালবাসি। বাংলাদেশ পশ্চিমবঙ্গকেও ভালোবাসে। কারণ দুটি দেশের মধ্যে ভাষা বর্ণ সমস্ত কিছুর মিল রয়েছে। রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকতেই পারে কিন্তু গত এক বছর ধরে যা ঘটেছে এবং বর্তমানে যা ঘটছে তার কোনটাকেই আমরা সমর্থন করি না। আমরা কখনোই কারোর ওপর আক্রমণ হোক এটা চাই না।
ভারত সরকার ও বাংলাদেশ সরকার পরস্পরের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে, সেটাই আমরা জানি। আমাদের যেরকম পশ্চিমবঙ্গ সরকার রয়েছে তেমনি দেশের কেন্দ্র সরকারও আছে। তারাই এ বিষয় সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা চাই মন্দির মসজিদ দুটি’ই থাক।
Be the first to comment