‘যে আমদের জন্য প্রাণ হারাল আর যারা হসপিটালে জীবন নিয়ে লড়ছে তাদের দায় কার ? তাদের জবাবদিহি কে করবে ? তাদের কি হবে?’ ..স্বস্তিকা

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- রবিবার সাতসকালে টলিউডের এক পরিচালকের গাড়ি পিষে দিয়ে গেল ৬ পথচারীকে। অভিযোগ মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন তিনি। জানা যায়, পথচারীদের মধ্যে একজনের মৃত্যুও হয়। সেই ঘটনায় গ্রেফতার হন অভিযুক্ত টলিউড পরিচালক ভিক্টো ওরফে সিদ্ধান্ত দাস। এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তে সমালোচনার ঝড় উঠেছে টলিপাড়াতেও। এদিকে এবার ঠাকুরপুকুরের ঘটনায় মুখ খুললেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়।

ফেসবুকের পাতায় লম্বা পোস্টে স্বস্তিকা লেখেন, ‘এতদিন জানতাম drunk driving একটা অতিব সিরিয়াস ক্রাইম। ধরা পড়লে পুলিশ কোনও কথা শোনে না। কোনও রকম ক্ষমতা, পরিচিতি – আমি কে জানো, আমি কার ছেলে জানো – এই মার্কা এটিটিউড কাজ করে না। সোজা হাজতবাশ। কলকাতায় নাকি পুলিশ এই নিয়ে খুবই কড়াকড়ি করে। তাই জানি এবং তাই দেখেছি। কড়া নাকাবন্দি, চেকিং, গাড়ি তে মহিলা থাকলেও কোনও আপোষ নয়। তাহলে এত মারাত্মক একটা ঘটনায় সবাই কী করে বেল পেয়ে গেল? যে মহিলা বাজার থেকে পালাল তাকে নাকি ধরা-ই হয়নি। সে কে? তাকে ছেড়ে দেওয়া হল কেন? একটা নো এন্ট্রি রাস্তায় ঢুকে একজন কে মেরে ফেললো, বাকি এতজন হসপিটাল এ। এত রকম খবর ঘুরছে যে সঠিক কজন বোঝা দায়। কিন্তু একজন এর মৃত্যুটা কি ইয়ার্কি?’
স্বস্তিকা আরও লেখেন, ‘এমনই নৈরাজ্য তার মধ্যে মদ খেয়ে এই ভাবে এলোপাথারি গাড়ি চালিয়ে লোক কে মেরে ফেললেও যদি কোনও শাস্তি না হয় এবং রাতারাতি বেল পেয়ে তারা যে যার বাড়ি চলে গিয়ে শান্তি তে ঘুমিয়ে পড়ে তাহলে আর আইন বা ট্রাফিক আইনের কোনও দরকার নেই। যে যা ইচ্ছে তাই করবে, গাড়ি চাপা দেবে, খুন করবে, রেপ করবে তারপর কিছুই হবেনা। যার বাড়ির লোক সকাল বেলা বাজার করতে এসে কারুর আমদের জন্য প্রাণ হারাল আর যারা হসপিটালে জীবন নিয়ে লড়ছে তাদের দায় কার ? তাদের জবাবদিহি কে করবে ? তাদের কি হবে? সহ‍্য করার একটা সীমা থাকে। সব গিয়ে দেউলিয়া হয়ে গেছি আমরা। এদের বাঁচানোর ও লোক আছে? শাস্তি না পেলে এর শেষ কোথায়? গাড়ি যে চালাচ্ছিল এবং গাড়ি তে যে দুজন মহিলা ছিল তারা সমান দোষী। এদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক। পাড়ার মধ্যে একদিন হেলমেট ছাড়া স্কুটিতে ওষুধ কিনতে গেছিলাম, পুলিশ আটকে দিয়েছিল। হাজার একটা কৈফিয়ত চাইল। মানুষ মেরে ফেলেছে যারা তাদের ব্যাপারে চুপ থাকলে তো হবেনা। লোক বুঝে নিয়ম পাল্টালেও হবেনা। চেংড়ামো হচ্ছে নাকি?! সবার জন্য নিয়ম একটাই। কঠোর শাস্তি।’

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*