উত্তুরে হাওয়ার সঙ্গে জুটি বেঁধে ক্রিজে নেমেই ঝোড়ো ব্যাটিং শীতের। একধাক্কায় হুড়মুড়িয়ে নামছে পারদ। কনকনে ঠান্ডায় শীতকাতুরে বাঙালি লেপ, সোয়েটার, মাঙ্কিক্যাপ মাফলারের পিছনে নিয়েছে আশ্রয়। পৌষের চতুর্থ দিনে অবশেষে হাড়কাঁপানি ঠান্ডার আস্বাদ পেল বাংলা। আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট বলছে, সোমবারই মরশুমের শীতলতম দিন।
দুরন্ত ফর্মে শীত। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী দুদিনে আরও নামবে পারদ। আগামী তিন দিন অর্থাৎ ২০ থেকে ২২ ডিসেম্বর আরও এক থেকে দু’ ডিগ্রি কমবে তাপমাত্রা। হাওয়া অফিস বলছে, আপাতত পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক ও পরিষ্কার আকাশ। আকাশ পরিষ্কার থাকায় উত্তুরে হাওয়া ঢুকতে শুরু করেছে হু হু করে। ফলে আগামী দু’দিনে ২ থেকে ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। আগামী দিনগুলিতে কলকাতা আকাশ পরিষ্কার থাকবে। শহরের তাপমাত্রা নামতে পারে ১১ ডিগ্রির নীচে। দক্ষিণের ৫ জেলায় শৈত্যপ্রবাহের ইঙ্গিত।
রবিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২২.৮ ডিগ্রি, যা স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি কম এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১.২ ডিগ্রি স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি কম। সোমবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২২ ডিগ্রির আশপাশে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নামতে পারে ১১ ডিগ্রিতে।
আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, বাংলায় আপাতত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। উত্তুরে হাওয়ার হাত যশে হুড়মুড়িয়ে নামছে পারদ। বঙ্গ জুড়ে শীতপ্রেমী বাঙালি এরই মধ্যে ক্রিসমাস এবং নিউ ইয়ারের প্রস্তুতিতে মজে। শীতের দুপুরে রোদে পিঠ দিয়ে কমলালেবুর কোয়া মুখে চালানোর সঙ্গে সঙ্গে চলছে পিকনিকের প্ল্যানিং। পৌষ মাসে জমিয়ে পিঠেপুলি খাওয়ার পরিকল্পনা করে ফেলেছেন অনেকেই।
এদিকে উত্তরবঙ্গে এদিন মারাত্মক শীত অনুভূত হয়েছে। দার্জিলিং শহর ঢেকে গিয়েছিল কুয়াশায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশার আস্তরণ সরে যায়। রৌদ্রজ্জ্বল দিন দেখা যায়। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দিনদিন পাহাড়ে ঠান্ডার প্রকোপ বাড়বে।
Be the first to comment