নারী সংরক্ষণ বিলে ক্যাবিনেটের অনুমোদন

Spread the love

সংসদের পাঁচদিনের বিশেষ অধিবেশন শুরুর আগেই ‘ঐতিহাসিক নির্ণয়’-এর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর অধিবেশনের প্রথম দিনের শেষলগ্নেই মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট অনুমোদন দিল নারী সংরক্ষণ বিলে। এটাই কি তবে প্রথম ঐতিহাসিক নির্ণয়?

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ প্যাটেল সোমবার রাতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বিষয়টি ঘোষণা করেন। তিনি লেখেন, ‘নারী সংরক্ষণের দাবি পূরণ করার নৈতিক সাহস কেবল মাত্র মোদী সরকারেরই ছিল। এই বিলকে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এর মাধ্যমে সরকারের নৈতিক সাহসিকতা প্রমাণিত হয়েছে। নরেন্দ্র মোদীজি এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে অভিনন্দন।
প্রসঙ্গত, সংসদের পাঁচদিনের এই বিশেষ অধিবেশন শুরুর আগে একটি সর্বদল বৈঠক ডেকেছিল কেন্দ্র। সেখানেই বিরোধীরা একযোগে দাবি তুলেছিল সংসদের এই বিশেষ অধিবেশনে নারী সংরক্ষণ বিল যাতে পাশ করানো হয়। বিশেষত কংগ্রেসের তরফে এই দাবি জোরাল করা হয়।

এই পাঁচদিনের বিশেষ অধিবেশনের জন্য তালিকাভুক্ত বিলগুলির মধ্যে ছিল না নারী সংরক্ষণ বিলের কোনও উল্লেখ। ফলে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছিল। এই বিল পাশ না হলে সংসদে একযোগে সরব হওয়ারও পরিকল্পনা করেছিলেন বিরোধী সাংসদরা। সেইমতো সোমবার সকালে সংসদ শুরুর আগে একটি বৈঠকও সারেন তাঁরা।
কিন্তু, রীতিমতো চমক দিয়েই সোমবার বিশেষ অধিবেশনের প্রথম দিন সন্ধ্যায় ক্যাবিনেট মিটিং ডাকে কেন্দ্র। তারপরই সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট এই মহিলা সংরক্ষণ বিলে অনুমোদন দেয়। প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে এই বিলটিকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। ১০০ মিনিট ধরে চলে সোমবার সন্ধ্যার ক্যাবিনেট বৈঠক। প্রথা অনুযায়ী ক্যাবিনেট বৈঠকের পর কোনও সাংবাদিক সম্মেলন হয়নি। তফশিলি জাতি বা তফশিলি উপজাতির জন্য সংরক্ষিত আসনগুলির মধ্যেও এক তৃতীয়াংশ সংরক্ষিত হবে SC বা ST নারীদের জন্য। ২০১০ সালে এই বিলটি প্রথম রাজ্যসভায় পাশ হয়েছিল। তবে তখন তা আর লোকসভায় পেশ করা হয়নি। এদিকে এই বিলটি আইনে কার্যকর হওয়ার ১৫ বছর পর তা বিলুপ্ত হবে বলে উল্লেখ করা হয়।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*