লোকসভায় পাশ মহিলা সংরক্ষণ বিল

Spread the love

বিরুদ্ধে ভোট দিলেন মাত্র ২ জন সাংসদ। পক্ষে ৪৫৪ জন। মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে দিনভর উত্তপ্ত বাদানুবাদের পর, লোকসভায় পাশ হল নারীশক্তি বন্ধন অধিনিয়ম বা মহিলা সংরক্ষণ বিল। মঙ্গলবারই লোকসভায় এই বিল পেশ করেছিলেন কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী অর্জুন সিং মেঘওয়াল। এই বিলে লোকসভা এবং বিধানসভাগুলিতে মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে। এদিন সকাল ১১টা থেকে লোকসভায় আজ বিলটির বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়। আলোচনা চলতে চলতে সংসদের কার্যক্রমের নির্ধারিত সময় ফুরিয়ে গিয়েছিল। তবে, ঠিক হয় ভোটাভুটি না হওয়া পর্যন্ত অধিবেশন চলবে।

বিলটি লোকসভায় পাস করার জন্য দুই তৃতীয়াংশের ভোট প্রয়োজন ছিল। জানা গিয়েছে একমাত্র এআইমিমের দুই সাংসদ, আসাদুদ্দিন ওয়াইসি এবং ইমতিয়াজ জলিল ছাড়া সকল সাংসদই বিলের পক্ষে ভোট দেন। এর আগে, বিলটির বিষয়ে লোকসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, সাধারণ, তফসিলি জাতি এবং উপজাতি – তিনটি বিভাগেই মহিলাদের সংরক্ষণের সুবিধা দেবে এই বিলটি। তিনি আরও জানান, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর জনগণনা এবং লোকসভ ও বিধানসভার আসন পুনর্বিন্যাসের পরই বিলটি বাস্তবায়ন করা হবে। নির্বাচনের পর দ্রুত জনগণনা এবং আসন পুনর্বিন্যাসের কাজ করা হবে বলে জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, এই বিলের ফলে, সংসদে মহিলাদের বৃহত্তর প্রতিনিধিত্ব সম্ভব হবে।

এই বিলে লোকসভা এবং বিধানসভায় মহিলাদের জন্য মোট আসনের এক-তৃতীয়াংশ সংরক্ষণ করার কথা বলা হয়েছে। তফসিলি জাতি এবং তফসিলি উপজাতিদের জন্য ইতিমধ্যেই যে আসনগুলি সংরক্ষিত রয়েছে, সেগুলিও এই মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণের আওতাতেই আসবে। ২০০৮ সালে একই ধরণের একটি আইন প্রবর্তন করার চেষ্টা করেছিল মনমোহন সিং সরকার। সেই বিলটি ২০১০ সালে রাজ্যসভায় পাস হলেও, তা আইনে পরিণত হয়নি।
এদিন, কংগ্রেস সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন সনিয়া গান্ধী লোকসভায় জানান, বিলটিকে কংগ্রেস সমর্থন করে। তবে, কেন জনগণনা এবং আসন পুনর্বিন্যাসের উপর এই সংরক্ষণ নির্ভরশীল, তা নিয়ে প্রশ্নও তোলেন তিনি। তফসিলি জাতি এবং তফসিলি উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে তিনি জাতিভিত্তিক জনগণনা প্রয়োজন বলে জানান। রাহুল গান্ধী এই বিলে অনগ্রসর শ্রেণির জন্যও সংরক্ষণ রাখা উচিত ছিল বলে জানান।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*