লোকসভাতে ইতিমধ্যেই পেশ হয়েছে মহিলা সংরক্ষণ বিল। বিল পাশ হলে লোকসভা ও বিধানসভায় সংরক্ষিত হবে মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন। এই বিল প্রসঙ্গে মঙ্গলবার সোনিয়া সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় বলেছিলেন, ‘এটা আমাদেরই বিল।’ বুধবার সংসদে এই বিল নিয়ে আলোচনায় অবিলম্বে তা কার্যকর করার দাবভি জানালেন সোনিয়া।
মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে বুধবার সংসদে বিতর্কে অংশ নিয়ে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী বলেন, এই বিল প্রথম এনেছিলেন আমার জীবন সঙ্গী রাজীব গান্ধী। মহিলা সংরক্ষণ বিলটি সমর্থন করে তিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর কথা উল্লেখ করে বলেন, স্থানীয় সংস্থায় মহিলাদের অংশগ্রহণ নির্ধারণের জন্য প্রথমবারের মতো সংশোধনী এনেছিলেন আমার জীবনসঙ্গী রাজীব গান্ধী, যা রাজ্যসভায় ৭ ভোটে পরাজিত হয়েছিল। সোনিয়া গান্ধী আরও বলেন, রাজীব গান্ধীর স্বপ্ন অর্ধেক পূরণ হয়েছে। এই বিল পাশ হলেই তা পূরণ হবে। তিনি বলেন, শুধুমাত্র এই বিল পাস করলেই হবে না অবিলম্বে তা কার্যকর করতে হবে। না হলে দেশের মহিলাদের সঙ্গে অবিচার করা হবে। মহিলা সংরক্ষণ বিলকে সমর্থন করার পাশাপাশি সোনিয়া গান্ধী প্রশ্ন করেন, দেশের মহিলারা এতদিন পর্যন্ত তাদের রাজনৈতিক দায়িত্বের অপেক্ষায় রয়েছেন, তাদের আরো কত বছর অপেক্ষা করতে হবে। পাশাপাশি জাতিশুমারি এবং এসসি, এসটি এবং ওবিসি মহিলাদের সংরক্ষণেরও দাবি জানায় কংগ্রেস।
উল্লেখ্য, এই বিলের প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার দিনই সোনিয়া গান্ধী বলেছিলেন, এটা আমাদেরই বিল। বিলটি অবিলম্বে কার্যকর করার দাবি জানানোর পাশাপাশি জাতিশুমারিও এবং এসসি, এসটি এবং ওবিসি মহিলাদের সংরক্ষণের ব্যবস্থা করার দাবি তোলেন তিনি। বিলের পাঁচ নম্বর ধারা উল্লেখ করে আম আদমি পার্টির (আপ) নেত্রী তথা দিল্লি সরকারের মন্ত্রী অতিশি দাবি করেন, মহিলা সংরক্ষণ বিলের নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তী জনগণনা এবং আসন পুনর্বিন্যাসের আগে সংরক্ষণের নিয়ম কার্যকর সম্ভব নয়। অর্থাৎ ২০২৪ সালের নির্বাচনে মহিলারা নয়া বিলের আওতায় সংরক্ষণ পাবেন না। মহিলা সংরক্ষণ নিয়ে সমাজবাদী পার্টির সংসদ ডিম্পল যাদব বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় এবং কৃতী রাজনীতিবিদ। উনি আগেই ৪০ শতাংশ মহিলা সংরক্ষণ করে দেখিয়েছেন দেশে এরকম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী প্রয়োজন।”
Be the first to comment