কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন আগেই। এ বার আর্থিক কেলেঙ্কারিতে নাম জড়াল টিডিপি (তেলেগু দেশম পার্টি) বিধায়ক ওয়াই এস চৌধুরীর। শুক্রবারই তাঁর বাড়িতে হানা দেয় ইডি ও আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। শনিবার ফের একবার বিধায়কের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে ইডি। বেআইনি আর্থিক লেনদেন ও বিপুল অঙ্কের টাকা নয়ছয় করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
চলতি মাসের ৮ তারিখ বিজ্ঞপ্তি জারি করে সিবিআইকে দেওয়া ‘জেনারেল কনসেন্ট’ বা সাধারণ সম্মতি প্রত্যাহার করেছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়়ডু। বলা হয়েছিল, তাঁর রাজ্যে কর্মরত সমস্ত স্তরের কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে তদন্ত করতে গেলে বা কেন্দ্রীয় সরকারি দফতরে তল্লাশি চালাতে গেলে প্রতিটি ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা করে অনুমতি নিতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। সেই নির্দেশ জারির কিছু দিনের মধ্যেই তাঁরই ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাড়িতে তল্লাশি চালাল আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। টিডিপি বিধায়কের বিরুদ্ধে কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।
সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকার সময় সুজন গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রি নামে একটি সংস্থাকে বিপুল অঙ্কের টাকা লোন পাইয়ে দিয়েছিলেন। ওই গ্রুপের ডিরেক্টর সুজন চৌধুরীও তাঁর ঘনিষ্ঠ। নাগার্জুন হিলসে ওই সংস্থার অফিসে তল্লাশি চালিয়ে ইডি-র আধিকারিকরা লেনদেন সংক্রান্ত বেশ কিছু ইমেল ও নথি উদ্ধার করেছেন। জুবিলি হিলসে বিধায়কের হেড অফিসেও চলেছে তল্লাশি।
রাজ্যভাগ হওয়ার পর থেকেই অন্ধ্রের জন্য বিশেষ অধিকার দাবি করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, টিডিপি সুপ্রিমো চন্দ্রবাবু নাইডু।তবে অন্ধ্রপ্রদেশকে ‘স্পেশ্যাল স্ট্যাটাস’ দিতে রাজি ছিল না কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি জানিয়েছিলেন, চন্দ্রবাবুর দাবি মতো অর্থ বরাদ্দ করতে তাঁরা রাজি আছেন, তবে বিশেষ অধিকার দেওয়াটা সম্ভব নয়। এর প্রতিবাদেই টিডিপির মন্ত্রিসভা ছেড়ে বেড়িয়ে যান ওয়াই এস চৌধুরী। তিনি সেই সময় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন।
বর্তমান সরকারের আমলে সিবিআই তার নিরপেক্ষতা হারিয়েছে, এই অভিযোগ তুলেই কেন্দ্রকে দেওয়া ‘সাধারণ সম্মতি’ প্রত্যাহার করেছিলেন অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। একই পথে হেঁটে সিবিআইকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ আনেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Be the first to comment