বছরের দ্বিতীয় সাইক্লোন নিয়ে জল্পনা কমছে, স্পষ্ট হচ্ছে গতিপথ। মৌসম ভবনের দেওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের দিকেই ধেয়ে আসছে সাইক্লোন ‘ইয়াস’। ২৬ মে বিকেলে রাজ্যের উপকূলে সেই ঝড় আছড়ে পড়বে বলে জানা যাচ্ছে। ‘ইয়াস’-এর শক্তিও হবে আমফানের মতোই। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হচ্ছে বলে বার্তা দিল মৌসম ভবন। আর সেই নিম্নচাপ ক্রমশ ‘অতি তীব্র’ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে বলে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
আজ, শুক্রবার মৌসম ভবনের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। আর সেখানেই জানানো হয়েছে ২২ মে অর্থাৎ আজ সকাল সাড়ে ৮টায় তৈরি হয়েছে সেই নিম্নচাপ। এটি ক্রমশ এগিয়ে যাবে উত্তর ও উত্তরপশ্চিম দিকে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সেই নিম্নচাপ আগামী ২৪ মে সাইক্লোন আব ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে আর তার ঠিক ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ‘অতি তীব্র’ ঘূর্নিঝড়ে পরিণত হবে সেই নিম্নচাপ। ২৬ তারিখ সকালে ঝড় ক্রমশ এগিয় আসবে বাংলা ও ওড়িশার উপকূলের দিকে।
এই ঝড়ের প্রভাবে বাংলা জুড়ে বৃষ্টিপাত হবে। তবে, শুধু দক্ষিণবঙ্গ নয়, প্রভাবিত হবে উত্তরবঙ্গও। একদিকে গঙ্গা তীরবর্তী এলাকাগুলিতে বৃষ্টিপাত শুরু হবে ২৫ মে থেকে। ২৪ ঘণ্টা ধরে চলবে ব্যাপক বৃষ্টির দাপট। অন্য দিকে, হিমালয় ঘেঁষা এলাকাতেও বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। ২৬ তারিখে সেই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা।
ইতিমধ্যেই এই সাইক্লোনের আশঙ্কায় একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। হাওড়া-চেন্নাই মেইন লাইনের সমস্ত ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। অন্যদিকে পুরী ভুবনেশ্বর থেকে হাওড়ায় আসা সমস্ত ট্রেনও বাতিল করা হয়েছে। ২৫মে, ২৬ মে ও ২৭ মে এই ট্রেনগুলি বাতিল থাকবে। পরিস্থিতির আগাম সতর্কতায় ময়দানে নেমে পড়েছে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই নেমে পড়েছে এনডিআরএফ। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিচ্ছেন জওয়ানরা। দুই মেদিনীপুরেও দেখা যাচ্ছে সেই ছবি।
আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, ‘ইয়াস’ আছড়ে পড়লে গত আড়া্ বছরে এটা হবে তৃতীয় ঝড়। ২০১৯-এর শেষে বুলবুল, ২০২০-তে আমফান আছড়ে পড়ার ফের শক্তিশালী ঘূর্নিঝড়ের আশঙ্কা। এমন ঘটনা কার্যত নজিরবিহীন বলে উল্লেখ করছেন তাঁরা।
Be the first to comment