যারা প্রতিমুহূর্তে, প্রতিটি কাজের দ্বারা গণতন্ত্রের উপর আঘাত হানছে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তাদের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন দ্রৌপদী মুর্মু। অতএব, গণতন্ত্র রক্ষা করতে হলে আমাকেই ভোট দিন। এই ভাষাতেই আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে শেষবার প্রচারে নামলেন বিরোধী পক্ষের রাষ্ট্রপ্রতি পদপ্রার্থী যশবন্ত সিনহা।
রবিবার সমস্ত রাজনৈতিক দলের উদ্দেশে দু’ পাতার প্রচারমূলক একটি বিবৃতি টুইট করেন যশবন্ত সিনহা। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিপক্ষ কেবল দু’ জন প্রার্থী নন বরং দু’টি সম্পূর্ণ ভিন্ন আদর্শ। সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে তিনি লেখেন, “ধর্মনিরপেক্ষতা ও সংবিধানকে রক্ষা করতে ভোটে দাঁড়িয়েছি আমি। আমার প্রতিপক্ষ যে দলের হয়ে দাঁড়িয়েছেন, তারা গণতন্ত্রের স্তম্ভগুলিকে ধ্বংস করে সংখ্যাগুরুর আধিপত্য কায়েম করতে চায় এদেশে।” তাঁর বার্তা, “আমি ঐকমত্য ও পারস্পরিক সহযোগিতার রাজনীতিকে উৎসাহিত করতে চেয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছি। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এমন এক দলের সমর্থনে দাঁড়িয়েছেন, যারা সংঘাত ও সংঘর্ষের রাজনীতি করতেই পছন্দ করেন।”
যশবন্তের দাবি, “শেষ পর্যন্ত দ্রৌপদী মুর্মু যদি জিতেও যান, তবে তিনি পরিচালিত হবেন এমন কিছু মানুষের দ্বারা, যাঁরা ভারতকে কমিউনিস্ট চিন বানতে চায়।” যশবন্তের প্রশ্ন, “এক রাষ্ট্র, একটিমাত্র রাজনৈতিক দল, একজন একনায়ক নেতা, এই সংস্কৃতিকে রোখা উচিত নয় কি আমাদের?” নিজেই উত্তর দেন, “রোখা উচিত বলেই মনে হয় আমার। আর আপনারাই তা রুখতে পারেন।”
উল্লেখ্য, সোমবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। তার আগে শেষবার রাষ্ট্রপ্রতি পদপ্রার্থী হিসেবে প্রচারমুলক দু’পাতার বিবৃতি টুইট করলেন যশবন্ত সিনহা। এর আগে গত বৃহস্পতিবার একটি ভিডিও বার্তায় তাঁর পক্ষে ভোটের জন্য সওয়াল করেন বিরোধী জোটের প্রার্থী তথা এককালের অটল বিহারী বাজপেয়ী মন্ত্রিসভার বিদেশ ও অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহা। ওই ভিডিওতে বিধায়ক ও সাংসদদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা ছিল, আপনার বিবেক যাঁকে বলছে, তাঁকেই ভোট দিন।
Be the first to comment