সম্প্রতি গঙ্গায় একের পর এক রাজ্যে মৃতদেহ ভেসে আসার ঘটনায় চমকে উঠেছিল গোটা দেশ। তালিকায় ছিল যোগীর রাজ্য উত্তরপ্রদেশও। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, সেগুলি ছিল কোভিড রোগীর দেহ। প্রথমে তা মানতে অনড় ছিল উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। তবে শেষ পর্যন্ত স্বীকারোক্তি যোগী সরকারের। সংবাদ সংস্থার সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, গঙ্গায় ভেসে আসা দেহগুলি করোনা আক্রান্তদের মৃতদেহ বলেই স্বীকার করেছে প্রশাসন। যদিও সরকারভাবে এখনও কোনও বিবৃতি দেয়নি যোগী রাজ্য।
সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিক মনোজ কুমার সিং জানিয়েছেন, কোভিড মৃত বেশ কিছু ব্যক্তির দেহ গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, ১৪ মে এই বিষয়টি লিখিত আকারে জেলা প্রশাসকদের জানিয়েছেন ওই আধিকারিক। আর সেই কারণেই একাধিক এলাকায় গঙ্গা থেকে দেহ ভেসে উঠতে দেখা গিয়েছে। এর মধ্যে গাজিপুরের নিকটে গঙ্গায় ফেলে দেওয়া কয়েকটি দেহের কোভিড রিপোর্টও এখনও আসেনি। দেহগুলিতে পচন ধরে যাওয়ায়, সেগুলি আদৌ করোনা আক্রান্ত ছিল কিনা, তাও এখনও বুঝে ওঠা মুশিকল বলে জানিয়েছেন মনোজ কুমার সিং। তাঁর আরও বক্তব্য, ‘সংক্রমণের ভয়ে অনেক পরিবার মৃতদেহ হাসপাতালে অথবা রাস্তাতেই ফেলে রেখে চলে গিয়েছেন।’
জানা গিয়েছে, প্রায় ২ হাজারেরও বেশি মৃতদেহ উত্তরপ্রদেশের একাধিক জায়গায় গঙ্গায় ভেসে উঠতে দেখা গিয়েছে। বিহার, উত্তরপ্রদেশে থেকে দেহ এ রাজ্যে ভেসে আসতে পারে, এমন আশঙ্কাই করা হয়েছে। আর এ নিয়ে জোর তৎপরতা শুরু মালদার গঙ্গার ঘাটগুলিতে। নদীর জলে দেহ ভেসে আসছে কিনা, সে ব্যাপারে নজর রাখার জন্য নৌকার মাঝিদের সতর্ক করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। পাশাপাশি গোটা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে জেলা প্রশাসন।
এই প্রসঙ্গে পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘এই ধরনের দেহ ভেসে আসতে পারে। সেই অনুযায়ী জেলা প্রশাসন তৎপর। সরকারি নির্দেশিকা মেনেই সবটা করা হবে। মানিকচক-সহ ঘাটগুলিতে নজরদারি চলছে। পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিও তৎপর করা হয়েছে। স্পিড বোট, মাঝিদের সংগনকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে’।বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই মানিকচক থানার আইসি সঞ্জীব বিশ্বাসের নেতৃত্বে পুলিশের দল নজরদারি চালাচ্ছে গঙ্গা পথে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘কোনও দেহ ভেসে আসছে কিনা, খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ।’ নৌকার এক মাঝি জানান, দেহ দেখতে পেলে পুলিশ প্রশাসনকে জানাতে বলা হয়েছে।
Be the first to comment