রোজদিন ডেস্ক,কলকাতা :- অশান্ত বাংলাদেশ! শেখ হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশে হিন্দু-সহ সকল সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সারা বিশ্ব। এই আবহে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসকে ফোন করলেন আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান। মার্কিন প্রশাসনের প্রকাশিত বিবৃতি অনুযায়ী, বাংলাদেশের নাগরিকদের মানবাধিকার রক্ষা প্রসঙ্গে দীর্ঘ ফোনালাপ চলে দুই দেশের উপদেষ্টার মধ্যে ৷
সোমবার ইউনুসকে ফোন করেন জেক সুলিভান। ঘটনাচক্রে, মঙ্গলবার ৬ দিনের মার্কিন সফরে যাচ্ছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর৷ আর তাঁর যাওয়ার আগেই এই কথোপকথন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, আমেরিকা ও বাংলাদেশের জাতি ও ধর্ম নির্বিশেষে সকল মানুষের মানবাধিকার বজায় রাখার পক্ষে দুই পক্ষই সাওয়াল করেন। সেই সঙ্গে, সমৃদ্ধ, স্থিতিশীল ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠনে মার্কিন প্রশাসনের সমর্থন প্রসঙ্গেও কথা হয় দু’জনের মধ্যে। আগামী দিনেও এই সাহায্য বজায় থাকবে বলে জানান জেক সুলিভান।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট সেদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা পদে শপথ নেন মহম্মদ ইউনুস। ঘটনাচক্রে, তাঁর দায়িত্বে আসার পর সেদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের একের পর এক ঘটনার অভিযোগ উঠতে থাকে। হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর, বিগ্রহ ভেঙে দেওয়া ইত্যাদি ঘটনারও অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় তীব্র নিন্দা করেন আমেরিকার নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তার দাবিতে প্রতিবাদ দেখানো হয় মার্কিন মুলুকে। এরপরই বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মতামত জানতে চাওয়া হলে হোয়াইট হাউসের তরফে ১৩ ডিসেম্বর একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির উপর নজর রয়েছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। প্রেসিডেন্টের দাবি, সেদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বজায় রাখার দায় অন্তর্বর্তী সরকারের। তবে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগের বলে জানান হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা যোগাযোগ উপদেষ্টা জন কার্বি।
Be the first to comment