রোজদিন ডেস্ক :- ঘুষ-কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানির। এরপরই ওই শিল্পপতিকে গ্রেফতার করার দাবি তুললেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী।
আমেরিকায় গৌতম আদানি-সহ সাত জনের বিরুদ্ধে আধিকারিকদের কোটি কোটি টাকার ঘুষ দেওয়ার প্রস্তাব এবং আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ ঘিরে শোরগোল শুরু হতেই বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন রাহুল। এদিন সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, “আদানিকে সুরক্ষা দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।” তিনি আরও বলেন, “আদানি যে ২ হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারি করেছেন, তাতে কোনও তদন্তও হবে না, গ্রেপ্তারিও হবে না। কারণ প্রধানমন্ত্রী মোদি খোদ আদানির সঙ্গে জড়িত।”
প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘এটা এখন বেশ পরিষ্কার যে আদানি ভারত এবং আমেরিকা উভয় দেশের আইন ভঙ্গ করেছেন। এরপরও এই দেশে কীভাবে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াতে পারছেন তিনি? খোদ প্রধানমন্ত্রী তাঁকে রক্ষা করছেন। কারণ আদানির সঙ্গে দুর্নীতিতে প্রধানমন্ত্রীও জড়িত।’
এরপরই মোদিকে আক্রমণ করে কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আসলে এক হ্যায় তো সেফ হ্যায় মন্ত্রে বিশ্বাসী। এদেশে ১০-১৫ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রীরা গ্রেপ্তার হন, অথচ ২০০০ কোটির দুর্নীতিতে অভিযুক্ত আদানি প্রকাশ্যে ঘুরে বেরাচ্ছেন। আজই আদানিকে গ্রেপ্তার করা উচিত। কিন্তু আদানিকে গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর নেই। কারণ, উনি নিজেই আদানির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হন।’ এমনকি আদানিকে রক্ষা করার অভিযোগে শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবি-র প্রধান মাধবী পুরী বুচকে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি তুলেছেন রাহুল। সম্প্রতি আমেরিকার সংস্থা হিন্ডেনবার্গ অভিযোগ করে যে, আদানিরা বিদেশে যে টাকা সরিয়েছেন, তাতে অংশীদারি রয়েছে সেবি প্রধান মাধবী এবং তাঁর স্বামী ধবল বুচের। তার পরেই এই বিষয়ে তদন্তের দাবি তোলে দেশের বিরোধী দলগুলি।
আদানির এই আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলাটি নিয়ে সংসদের আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে কংগ্রেস সরব হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, ভারতের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের বরাত পেতে সরকারি আধিকারিকদের ২৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঘুষের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আদানির বিরুদ্ধে। কারণ ওই প্রকল্পের বরাত পেলে আগামী ২০ বছরে ২ বিলিয়ন ডলার লাভ করা সম্ভব ছিল আদানি গোষ্ঠীর। এই মামলায় গৌতম আদানির ভাইপো সাগর আদানির বিরুদ্ধেও এই মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও আরও কয়েকজনের নাম রয়েছে সেই তালিকায়। গৌতম ও সাগর দুজনের বিরুদ্ধেই ইতিমধ্যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে মার্কিন প্রশাসন।
Be the first to comment