ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে পদত্যাগ করছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে নিকটতম BJP প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষকে প্রায় ৫০ হাজারেরও বেশি ভোটে পরাজিত করেন। বিধানসভার স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন তিনি। সূত্রের খবর, ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে লড়বেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শোভনদেব জানিয়েছেন, নিজের ইচ্ছা এবং দলের নির্দেশেই তাঁর এই সিদ্ধান্ত।
উল্লেখ্য, এবারের নির্বাচনে হাইভোল্টেজ নন্দীগ্রাম কেন্দ্র থেকে ভোট লড়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর শেষ পর্যন্ত জয় পেয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। যদিও, বিপুল সংখ্যক সমর্থন নিয়ে রাজ্যে ফের ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে, বিরোধী দলনেতার আসনে বসেছেন BJP নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অন্য কোনও কেন্দ্র থেকে জয়ী হতে হত। খড়দার বিজয়ী বিধায়ক কাজল সিনহার মৃত্যুর পর অনুমান করা হয় সেই কেন্দ্র থেকেই লড়বেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে যেহেতু অমিত মিত্র ফের অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। এবং ভোটে না লড়ায় তাঁকে ও কোনও না কোনও কেন্দ্র থেকে ভোট জয় পেতে হবে। সে ক্ষেত্রে তিনি তাঁর পুরনো কেন্দ্র থেকেই যে ভোটে দাঁড়াতে চলেছেন, সেটাই অনুমান করা হচ্ছে। ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের কেন্দ্র ভবানীপুর থেকেই লড়বেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
অন্যদিকে, বরাবর রাসবিহারী আসন থেকে বিধায়ক হয়েছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। একসময় দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের কংগ্রেস বিধায়ক ছিলেন শোভনদেব। তৃণমূল গঠনের পর ১৯৯৮ সালে বারুইপুরের বিধায়ক পদ ছেড়ে রাসবিহারী উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হন। কংগ্রেস বিধায়ক হৈমী বসুর মৃত্যুতে ওই কেন্দ্রে উপনির্বাচনে লড়েছেন তিনি। দলের এই বিশ্বস্ত সৈনিক ছিলেন তৃণমূলের প্রথম বিধায়ক। দলনেত্রীকে জায়গা দিতেই তাঁর এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন শোভনদেব। যদিও তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনও দলীয় ভাবে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে খবর। নতুন মন্ত্রিসভায় তাঁকে কৃষি মন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করা হয়েছিল। তবে সূত্রের খবর, তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠাতে পারে তৃণমূল।
Be the first to comment