সিটের চার্জশিটে ভরসা নেই, আদালতের নজরদারিতে সিবিআই তদন্ত হোক, বললেন আনিসের বাবা

Spread the love

ছাত্রনেতা আনিস খান মৃত্যুর ঘটনায় আজ, সোমবার চার্জশিট পেশ করেছে সিট। তাতে দাবি করা হয়েছে, খুন নয়, পড়ে গিয়েই মৃত্যু আনিসের। চার্জশিটের উপর ভরসা নেই, এমনটাই জানিয়েছেন আনিসের বাবা সালেম খান। তাঁর কথায়, ‘আনিসকে যে পুলিস খুন করেছে, সেই পুলিস কীভাবে চার্জশিট দিল? সেদিন আনিসকে মেরে ছুটে পালিয়ে যায় পুলিস। সিটের তদন্তের উপর কোনও আশা-ভরসা নেই। আদালতের নজরদারিতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। কেস এখন ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছে। আজ শুনানি রয়েছে। তার আগেই তড়িঘড়ি উলুবেড়িয়া কোর্টে চার্জশিট দিল সিট।’

তিনি বলেন, ‘পুলিস কেন এ্সেছিল আনিসের বাড়িতে, তার কোনও কারণ উল্লেখ নেই চার্জশিটে। আনিসের সঙ্গে পুলিসের কোনও শত্রুতা ছিল না। তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে ওর ঝামেলা ছিল। শাসকদলের নেতার পরিকল্পনা মাফিক পুলিস পাঠিয়ে ওকে খুন করিয়েছে। সিট চার্জশিটে ৫ জন পুলিস কর্মী-আধিকারিকের নাম দিয়েছে। দু’জন গ্রেফতার হয়েছে। বাকি তিনজন কোথায় গেলেন?’ চার্জশিটে নাম রয়েছে আমতা থানার তৎকালীন ওসি দেবব্রত চক্রবর্তী, এক এএসআই, এক হোমগার্ড এবং দু’জন সিভিক ভলান্টিয়ারের৷ চার্জশিটে অনিচ্ছাকৃত খুন বা ৩০৪এ ধারার পাশাপাশি ১২০বি, ৩৪১, ৩৪২ এবং ৪৫২ ধারার উল্লেখ রয়েছে৷

চলতি বছর ১৮ ফেব্রুয়ারি আমতার দক্ষিণ খাঁন পাড়ায় রহস্যমৃত্যু হয় ছাত্রনেতা আনিস খানের। আনিসের বাবা সালেম খানের অভিযোগ ছিল, ঘটনার দিন পুলিস এবং সিভিক ভলান্টিয়ারের পোশাক পরা চারজন তাঁদের বাড়িতে এসেছিল। পুলিসের পোশাক পরা একজন তাঁর দিকে বন্দুক তাক করে একটি ঘরে আটকে রাখে। বাকি তিনজন সোজা বাড়ির ছাদে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর ওই তিনজন নেমে এসে বন্দুকধারীকে জানায়, কাজ হাসিল হয়ে গিয়েছে। এরপরই ওই চারজন আনিসের বাড়ি থেকে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর বাড়ির সামনে আনিসকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*