অবশেষে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অফিস থেকে বেরলেন রাহুল গান্ধী। সোমবার দু’দফায় মোট ১০ ঘণ্টারও বেশি সময় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হল। সূত্রের খবর, আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবারও তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। এদিকে রাহুলকে জেরার প্রতিবাদে দিল্লিতে ইডির অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন কংগ্রেস নেতারা। সেখানে ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরমও। বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ করতে তাঁদের উপর চড়াও হয় দিল্লির পুলিশ। আটক করা হয় নেতাদের। সেই সময় পুলিশের ধাক্কায় চিদম্বরমের পাঁজরের হাড়ে চোট লাগে। হাড়ে চির ধরেছে বলে জানিয়েছেন বর্ষীয়ান নেতা। এদিকে রাত ন’টা নাগাদ আটক কংগ্রেস নেতাদের থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় প্রাথমিকভাবে রাহুল গান্ধীকে গত ২ জুন এবং তাঁর মা সোনিয়া গান্ধীকে আগামী ৮ জুন হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইডি। কিন্তু রাহুল গান্ধী তখন ব্যক্তিগত সফরে বিদেশে ছিলেন। তাই ইডির দপ্তরে হাজিরা দিতে পারেননি। বদলে চিঠি লিখে তিনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে অতিরিক্ত সময় চেয়েছিলেন। রাহুলের সেই অনুরোধ মেনে তাঁকে ১৩ জুন দিল্লিতে ইডির সদর দপ্তরে হাজিরা দিতে বলা হয়। সেই মতোই এদিন সকাল ১১টা ১৫ নাগাদ ইডি দপ্তরে হাজির হন কংগ্রেস নেতা। সঙ্গে ছিলেন দিদি প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
তার পর দুপুর আড়াইটে অবধি একদফা জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। মাঝে মধ্যাহ্নভোজের বিরতি দেওয়া হয়েছিল রাহুলকে। সেই সময় ইডি অফিস থেকে বেরিয়ে করোনা আক্রান্ত মা সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে হাসপাতালে দেখা করেন তিনি। ফের সোয়া পাঁচটা নাগাদ ইডি অফিসে ঢোকেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি।
Be the first to comment