রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে আপাতত স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। গত সোমবারই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, এই আইন পুনর্বিবেচনা করা হবে। তারপরেই সুপ্রিম কোর্ট জানতে চায়, পুনর্বিবেচনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কি স্থগিত রাখা হবে এই আইন? সেই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেল আজ।
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, আপাতত রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে কোনও এফআইআর দায়ের করা উচিৎ হবে না। ব্রিটিশ আমলে তৈরি হওয়া এই আইন ১৬২ বছর পর প্রথমবার স্থগিত রাখা হল। আরও বলা হয়েছে, যদি রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে মামলা রুজু করা হয়, তাহলে অভিযুক্তরা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চতর আদালতে যেতে পারে। যদি কারও নামে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা রুজু হয়ে থাকে, তাহলে এখনই তাঁকে গ্রেপ্তার করা যাবে না।
পাশাপাশি সেই মামলাগুলির দ্রুত নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতগুলিকে। ইতিমধ্যেই এই আইনের বলে যাঁরা গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাঁরা জামিনের জন্য আবেদন করতে পারবেন বলেও জানানো হয়েছে। একান্ত প্রয়োজন পড়লে এসপি পদমর্যাদার অফিসার এই আইনে মামলা রুজু করতে পারেন। তবে বিনোদ দুয়া মামলায় রায় অনুসারেই নতুন মামলা দায়ের করতে হবে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা বলেন, “আমাদের চিন্তা যাঁদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা ইতিমধ্যে রয়েছে তাঁদের নিয়ে। যতদিন না আইনটি নতুন করে পুনর্বিবেচনা হচ্ছে ততদিন এই অভিযুক্তদের কী হবে? এই মামলাগুলো নিয়ে কী ভাবছে কেন্দ্রীয় সরকার? কাল সকালের মধ্যে সরকারের জবাব চাই।” তাঁর কথায়, “যাঁরা ইতিমধ্যে আটক হয়েছেন বা যাঁদের বিরুদ্ধে এই মামলা রয়েছে তাঁদের ভবিষ্যৎ কী? এই আইন কি আপাতত স্থগিত রাখা হবে?”
রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের বলেই স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় মহাত্মা গান্ধীর মতো নেতাদের গ্রেপ্তার করা হত। এখনও এই ধরনের আইন বলবৎ করা উচিত কিনা, তা নিয়ে আগেও কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রশ্ন করেছে সর্বোচ্চ আদালত। এমনকী এই আইনের দ্বারা সরকার ক্ষমতার অপব্যবহার করতে পারে, এই আশঙ্কাও প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি। তবে এই আইন পুরোপুরিভাবে ছেঁটে ফেলা হোক, এমনটা চায় না সুপ্রিম কোর্ট।
Be the first to comment