শরদ পওয়ার, ফারুখ আবদুল্লার পর এবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীদের প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব ফেরালেন গোপালকৃষ্ণ গান্ধী। কেন এমন সিদ্ধান্তের পথে হাঁটলেন, সোমবার এক বিবৃতি দিয়ে তাও স্পষ্ট করে দিলেন গান্ধীজির দৌহিত্র।
তিনি জানান, রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে যৌথভাবে বিরোধীরা যে তাঁর নাম বিবেচনা করেছে, তার জন্য তিনি কৃতজ্ঞ। কিন্তু বিরোধীদের ‘আরও ভাল’ প্রার্থীর কথা ভাবতে অনুরোধ জানিয়েছেন গোপালকৃষ্ণ গান্ধী। তিনি মনে করছেন, বর্তমানে রাষ্ট্রপতি পদে এমন একজনকে প্রার্থী করা প্রয়োজন, যিনি জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন।
পওয়ারের বিকল্প হিসাবে প্রথম নামটি ভাবা হয়েছিল গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর। জানা গিয়েছিল, বিরোধীদের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই তাঁর নামটি প্রস্তাব করেছিলেন। গান্ধী পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল। একাধিক দেশে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত হিসাবে কাজ করেছেন। কংগ্রেস এবং তৃণমূল দুই শিবিরের সঙ্গেই তাঁর সম্পর্ক ভাল। এর আগে ২০১৭ সালে উপরাষ্ট্রপতি পদেও লড়াই করেছেন তিনি। তাঁর পাশাপাশি উঠে আসে ফারুক আবদুল্লার নাম। কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীও মমতার পছন্দের তালিকায় ছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে তিনিও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। এবার সেই পথেই হাঁটলেন গোপালকৃষ্ণ গান্ধী।
এ নিয়ে আগামী কাল, মঙ্গলবার দিল্লিতে পওয়ারের ডাকা বৈঠকে ফের একত্রিত হবে বিরোধী শিবির। যদিও এই বৈঠকে থাকবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের তরফে হাজির থাকবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তার আগেই রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে উঠে এল নতুন একটি নাম। তিনি যশবন্ত সিনহা। যিনি আবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। সূত্রের খবর, যশবন্ত সিনহাকে নাকি ইতিমধ্যেই সমর্থন জানিয়েছে কয়েকটি বিরোধী রাজনৈতিক দল। মঙ্গলবারের বৈঠকের পর রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে বিরোধী শিবিরের ছবিটা আরও স্পষ্ট হবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
Be the first to comment