ভোটের আগে আরও একবার পুরুলিয়ায় জনসভায় এলেন মমতা বন্দ্য়পাধ্যায়। তিনটি জনসভার প্রথমটি পাড়ায়। পরের দুটি কাশীপুর ও রঘুনাথপুরে। দিন কয়েক আগেই নরেন্দ্র মোদি সুর বেঁধে দিয়ে গিয়েছিলেন, পুরুলিয়ায় বিজেপি ক্ষমতায় এলে জল সংকট দূর হবে। মমতা প্রকৃতপ্রস্তাবে উত্তর ফেরালেন। জল সমস্যা সমাধানের রুটম্যাপ তৈরির পাশাপাশিই বিজেপিকে বিঁধলেন গ্যাসের দাম অস্ত্রে। ইশতেহার নিয়েও রইল কটাক্ষ।
মমতা বলেন, এখানে দীর্ঘদিনের পানীয় জলের সমস্যা ছিল। এখানে পানীয় জল প্রকল্প হয়েছে ৷ ৩৩ হাজার টিউবওয়েল বসানো হয়েছে। জেআইসিএ জল প্রকল্পে কাজ চলছে। সাত বছর হয়ে গেল। দুই বছর নেবে বলেছিল। এক বছরে আমাদের কাজ শেষ হবে। যাতে ২০২২ সালের মার্চ মাসে আরও ৮ লক্ষ মানুষ জল পাবে। পুরুলিয়ার টাউন ও ৫টি ব্লক পাবে।
জল স্বপ্ন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে৷ এখানে জমিতে, চাষ হয়না জমিতে, সেচের সমস্যা রয়েছে। কিন্তু এসব সত্ত্বেও কিছু জমি বাছাই করা হয়েছে। এখানে ৫৮০০০ কোটি টাকা খরচ করে এই প্রকল্প আনা হল।
এই এলাকার কাঠামো বদলে গেছে। অনেক উন্নয়ন হয়েছে। একাধিক সংযোগকারী রাস্তা হয়েছে। ৭২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হচ্ছে। তাতে লক্ষ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে।
জল কষ্ট দূর করার জন্যে ১০ ব্লকে জল সরবরাহ করা হচ্ছে। আস্তে আস্তে পুরুলিয়া জেলার কিছু অংশ নিয়ে মাটি সৃষ্টি করা হচ্ছে। ১০০ দিনের কাজ বেড়ে ২০০ দিন হয়ে যাবে
আগে ভয়ে এখানের মানুষের মুখ শুকিয়ে থাকত। আজ পুরুলিয়ায় মানুষ শান্তিতে আছেন।। আমরা কাস্ট সার্টিফিকেট সরলীকরণ করে দিয়েছি। মাসে ১ হাজার টাকা করে পাবেন শিডিউল কাস্টের মা বোনেরা। ছাত্রছাত্রীদের নামে ১০ লক্ষ টাকার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট হবে। সে নিজের পয়সায় পড়তে বিদেশে যাবে, এর জন্যে কাউকে জামিন দিতে হবে না। জামিনদার আমরা। আগের চেয়ে দ্বিগুণ শিক্ষক নেবো। ৭৫ শতাংশ ইউনিটের জন্য অর্থ দিতে হয় না। আগামী দিনে বিদ্যুৎ দেবো সুলভেই।
আদিবাসীদের জমি কেউ দখল করতে পারবে না। বিজেপির নেতারা বীরসা মুন্ডা বলে অন্যজনের গলায় মালা দিয়ে যায়। সিধু কানহুর মূর্তি ভেঙে দেয়। বিজেপি হল গদ্দারের, দানবদের, দস্যুদের দল। পাতা ভর্তি বিজ্ঞাপন দিয়েছে। এটা করব, ওটা করব। আসলে সব মিথ্যা বলেছে। আমার পা খারাপ হলেও, জানে না আমি ভাঙি তবু মচকাই না।
বেকারি কমিয়েছি ৫০ শতাংশ। আরও কমাব। দারিদ্র্য ৩৫ শতাংশের এনেছি, ৫ শতাংশে নামাব। যা কাজ হয়েছে তা আগামীদিনে আরও করব। কাজ করতে গেলে মনে রাখবেন এটা দিল্লির সরকার নয়। এটা তৃণমূলের সরকার।
ঝাড়গ্রামের প্রার্থীর ভিডিও দেখলাম। বলছে ভোটের আগে আসিস টাকা দিয়ে দেব। কোটি কোটি টাকা করেছে চুরি। দিচ্ছে ৫০০ টাকা। ওই টাকা দিয়ে ভোট দেবেন না।
ঝাড়খন্ডের মতো এখানেও বিজেপি হারবে। খেলা হবে। ভোট নিয়ে পুরুলিয়ার এম পি পালিয়ে গেছে। এবার কারও মাধ্যমে কিছু হবে না। নিজের লেখা নিজে হবে। ওদের মাঠ থেকে আমি ফাঁকা করে দেব। আমার বন্দুকের ভয় নাই। রাজ্য পুলিশ ইসি’র নিয়ন্ত্রণে থাকলে। কেন্দ্র পুলিশ ইসি’র নিয়ন্ত্রণে কেন থাকবে না?
আসামের, ত্রিপুরার ইস্তাহার নিয়ে আসুন। চ্যালেঞ্জ করছি। বলেছিল চাকরি দেবে। বরং তাড়িয়ে দিয়েছে। কাজেই দানব, রাবণ বিজেপি থেকে সাবধান।
আমরা মা দুর্গাকে ভালোবাসি।
বিনা পয়সায় চাল পাব। আর ৯০০ টাকার গ্যাসে ফোটাব? সব কারখানা বন্ধ করে দিচ্ছে।।একমাত্র মোদীর মিথ্যা কথার কারখানা ছাড়া। এবারের ভোটে মা বোনেরেই জেতাবে আমাদের।
Be the first to comment