চাকরির সুযোগ কমবে। বিলুপ্ত হয়ে যাবে অসংগঠিত ক্ষেত্র। কেন্দ্রের ন্যাশনাল মানিটাইজেশন পাইপলাইনের (এনএমপি) জেরে এমনই অবস্থা হবে বলে দাবি করলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। যা দেশে বেকারত্ব বাড়াবে। তার ফলে সামাজিক উত্তেজনা ও হিংসা বাড়তে পারে বলেও সতর্ক করেছেন রাহুল। তাঁর দাবি, সেই ‘উচ্চাকাঙ্ক্ষী’ কর্মসূচির মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে একচেটিয়া ব্যবস্থা তৈরির চেষ্টা করছে কেন্দ্র।
মঙ্গলবার কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি বলেন, ‘আমরা বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে নয়। আমাদের (ইউপিএ সরকার) বেসরকারিকরণের একটি নীতি ছিল। রেলের মতো কৌশলগত ক্ষেত্রের বেসরকারিকরণ করা হয়নি। একচেটিয়া ব্যবস্থা তৈরির জন্য এইসব বেসরকারিকরণের পদক্ষেপ করা হয়েছে। আপনারা জানেন যে কে বন্দরের মালিক এবং কে বিমানবন্দর পাচ্ছেন।’ রাহুলের অভিযোগ, ‘গয়না বেছে দিচ্ছে’ মোদী সরকার।
প্রসঙ্গত, সোমবার ছ’লাখ কোটি টাকার ন্যাশনাল মানিটাইজেশন পাইপলাইনের সূচনা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। যে কর্মসূচির আওতায় আগামী চার বছর ধরে রেল, রাস্তা, বিমানবন্দর, খেলার স্টেডিয়াম, বিদ্যুৎ বণ্টন, ফোনের টাওয়ার, গ্যাসের সংযোগ মতো সম্পত্তির ক্ষেত্রে বেসরকারি বিনিয়োগের দরজা খুলে দেওয়া হচ্ছে। যা ২০২১-২২ অর্থবর্ষ থেকে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষ পর্যন্ত চালু থাকবে। সীতারামন দাবি করেন, কোনও সরকারি সম্পত্তি বিক্রি করা হবে না। তহবিল সংগ্রহের জন্য তা আরও ভালোভাবে ব্যবহার করা হবে।
শুধুমাত্র কম ব্যবহৃত সম্পদের ক্ষেত্রে বেসরকারি বিনিয়োগ টানা হবে। মালিকানা সরকারের কাছে থাকবে। বেসরকারি বিনিয়োগ টেনে সেই প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারের হাতে সম্পত্তি আরও ভালোভাবে ব্যবহৃত হবে। যা অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে। একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর বেসরকারি সংস্থাগুলিকে কেন্দ্রের হাতে সেই সম্পত্তি তুলে দিতে হবে। সেই কর্মসূচির মাধ্যমে কেন্দ্রের হাতে যে টাকা আসবে, তা পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং নয়া পরিকাঠামো তৈরির কাজে ব্যবহার করবে সরকার।
Be the first to comment