মঙ্গলবার জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা। স্নানের পর জ্বর আসে জগন্নাথদেবের। তারপর বৈদ্যরাজের পাচন খেয়ে অসুখ সারে। রথ নিয়ে পথে বেরন জগন্নাথ। এ গল্প সবার জানা। কিন্তু, সত্যিই কোভিডের পর এবার আবার ভক্তকুলের সামনে আসতে চলেছেন জগন্নাথ। তাই পুরীতে এবছর সাজসাজ রব। ভোর থেকে চলছে স্নানযাত্রার বিভিন্ন রীতি-রেওয়াজ। ২ বছর স্নানযাত্রা দেখতে না-পাওয়ায় ভোররাত থেকেই ভক্তদের ঢল নেমেছে পুরীতে। স্থানীয়রা তো বটেই, দূরদূরান্ত থেকে ভক্তরা এসে জুটেছেন মন্দির নগরীতে।
ভোর ৪টের সময় মঙ্গলার্পণের মধ্য দিয়ে এদিনের চিরাচরিত রীতি-রেওয়াজের অনুষ্ঠান শুরু হয়। তারপর সকাল ৬টা নাগাদ ভগবান সুদর্শন, তারপর একে একে বলভদ্র, সুভদ্রা ও জগন্নাথদেবকে স্নানবেদিতে প্রতিষ্ঠা করা হয়। তার আগেই প্রথা অনুযায়ী পুজোপাঠও হয়। এরপর ১০৮ ঘড়া পুণ্যবারিতে স্নান করানো হয় তিনজনকে। এরপর হাতিবেশে সাজানোর পর ভক্তদের দর্শনের জন্য জগন্নাথদেবকে রাখা হয়।
জগন্নাথের দ্বাদশ মহোৎসবের মধ্যে রথযাত্রাই সবথেকে বড়। ওডিশাসহ গোটা ভারত থেকেই ভক্তরা এই সময় পুরীতে আসেন। কিন্তু, কোভিডের কারণে গত ২ বছর ধরে পুণ্যার্থীরা স্নানযাত্রা বা রথযাত্রায় অংশ নিতে পারেননি। তাই এবার ভক্তদের ঢল অনেক বাড়বে বলে প্রশাসনের অনুমান। প্রাচীন বিশ্বাস অনুযায়ী, এই দিনেই জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার জন্ম হয়েছিল। তাই অনেকের মতে, এটাই জগন্নাথের জন্মদিন। ভক্তরা এও বিশ্বাস করেন যে, এইদিনে জগন্নাথ দর্শন করলে জীবনের সব পাপ ধুয়ে যায়। তাই স্নানযাত্রায় প্রতিবছরই লাখো পুণ্যার্থীর ভিড় হয়।
Be the first to comment