কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া, ইসলামপুরে পদযাত্রা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাহুলের পদযাত্রা যে পথে এগিয়েছিল, সেই পথ ধরেই দলীয় কর্মীদের নিয়ে হাঁটবেন তৃণমূল নেত্রী। প্রসঙ্গত, সোমবার বিকালে শিলিগুড়ির সভা সেরেই মমতা জানান, কর্মসূচির পরিবর্তন হচ্ছে। শুধু রায়গঞ্জ ও বালুরঘাটের সভা নয়। তার পাশাপাশি চোপড়া, ইসলামপুর ও রায়গঞ্জে পদযাত্রাতেও অংশ নেবেন তিনি। এ দিন মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে দুপাশে ভিড় ছিল উপচে পড়ার মতো। প্রচুর মানুষ ফোন হাতে ছুটে আসেন মুখ্যমন্ত্রীর ছবি তোলার জন্য। আজ রায়গঞ্জে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একমঞ্চে বিদ্রোহী বিধায়ক আবদুল করিম চৌধুরী। সিনিয়র লিডার বলে উল্লেখ করলেন।
এদিন মমতা বলেন, বিজেপি-কংগ্রেস-সিপিএমকে হারিয়ে দিতে পারে এক মাত্র তৃণমূল। আমরা দিয়ে যাব। ওরা কিছু না দিয়েই বলছে ভোট দাও। মমতা মনে করিয়ে দেন ডানকুনি-হলদিয়া, ডানকুনি-কল্যানী, ডানকুনি-বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ-শিলিগুড়ি হয়ে কোচবিহার। চায়ের পাট্টা দিচ্ছি। মজদুররা পাট্টা পাবেন। ভারতকে পথ দেখাবে বাংলা। মমতা জানান, এখন বিনামূল্যে রেশনও দেয় না। কোভিডে ছমাস রেশন দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে। তাহলে কেন বলছে বিজেপি হাম চাউল দেঙ্গে? হামকো নেহি চাহিয়ে হাম খুদ করেঙ্গে। মমতা জানান, সামনে বাজেট আছে। সেটাও করতে হবে। কেন্দ্রের বাজেট নেই এবার। ভোট অন একাউন্ট হবে । শুধু মাইনের জন্য টাকা পাস করা। তবু বকবে ওরা অনেক। বকুম-বকুম। আবার বলেছে এনআরসি করবে, একতন্ত্র চলবে। বর্ডার এলাকায় বিএসএফ বলছে কার্ড নিতে। ওই কার্ড নেবেন না। নাগরিক না হলে রেশন পান কী করে? মিথ্যে কথা বলছে। বাংলায় এনআরসি চালু করতে দেব না। আগেও দিইনি। এখনও দেব না। প্রয়োজনে দেব রক্ত।
তবে মমতা মনে করিয়ে দিতে ভোলেননি একসঙ্গে থাকতে গেলে ঠোকাঠুকি লাগে। পরে ঠিক হয়ে যাবে। কেউ ইচ্ছাকৃত ভুল করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগে রেল মিনিস্টার ছিলাম। একলাখি বালুরঘাট আমিই করেছিলাম।
Be the first to comment