আগেই রাজ্যে আংশিক লকডাউন জারি করা হয়েছিল। কিন্ত করোনা সংক্রমণ এখনও লাগামহীন। প্রত্যেক দিন রাজ্যে নতুন করে সংক্রামিত হচ্ছেন ২০ হাজারের বেশি মানুষ, রোজ শতাধিক মানুষের মৃত্যু দেখছে বাংলা। তাই ফের নতুন করে বিধিনিষেধ জারি করা হল রাজ্যে। আজ, শনিবার মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সেই বিধিনিষেধ জারি করেছেন, যা কার্যকর হবে আগামিকাল, রবিবার থেকে। ৩০ মে পর্যন্ত সেই সব বিধিনিষেধ জারি থাকবে। লোকাল ট্রেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল আগেই। এবার সরকারি-বেসরকারি অফিস, মেট্রো, বাস-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। শুধুমাত্র কিছু জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
ই-কমার্স, হোম ডেলিভারি: বাজার বন্ধ থাকবে, তাই প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে ই-কমার্স সংস্থাগুলির ওপর ভরসা করতে হবে। এছাড়া সুইগি বা জোমাটোর মধ্যে হোম ডেলিভারি পরিষেবা চালু থাকবে। যে সব সংস্থার হোম ডেলিভারি দেওয়ার সুবিধা আছে, তারা দিতে পারবে।
মুদির দোকান, খুচরো দোকান: গত কয়েকদিনের আংশিক লকডাউনে এই সব দোকান সকাল ৭ টা থেকে ১০ টা ও বিকেলে ৫ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত খোলা ছিল। আগামিকাল থেকে শুধু সকালেই দোকান খুলবে। সকাল ৭ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে দোকান।
বাজার: সাধারণ বাজারের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। বিকেলে বাজার খোলা হবে না। সকাল ৭ টা থেকে ১০ টার মধ্যেই বাজার সারতে হবে। মাছ, মাংস, সবজি, ফল -এসবই পাওয়া যাবে।
ব্যাঙ্ক/ এটিএম: গত বছর লকডাউনে পূর্ণ সময়ের জন্য খোলা ছিল ব্যাঙ্ক। কিন্তু এবার ব্যাঙ্ক খোলা থাকবে ৪ ঘণ্টার জন্য। সকাল ১০ টা থেকে ২ টো পর্যন্ত ব্যাঙ্কে কাজ চলবে। এটিএম পরিষেবার ক্ষেত্রে কোনও বাধা-নিষেধ নেই।
পেট্রোল পাম্প, অটো রিপেয়ার: বাস, অটো, বন্ধ থাকলেও ব্যক্তিগত গাড়ির ক্ষেত্রে ছাড় রয়েছে। এছাড়া চিকিৎসক, নার্স ও সংবাদমাধ্যমের গাড়ির ক্ষেত্রে ছাড় রয়েছে। তাই খোলা থাকবে পেট্রোল পাম্প। গাড়ি মেরামতের দোকানও খুলে রাখা হবে।
ওষুধ দোকান, চশমা দোকান: জরুরি পরিষেবার মধ্যে অবশ্যই পড়ে ওষুধ, তাই ওষুধ দোকান খোলা থাকবে। পাশাপাশি চশমার দোকানের ক্ষেত্রেও ছাড় দেওয়া হয়েছে।
মিষ্টির দোকান: মিষ্টির দোকানের ক্ষেত্রে দেওয়া হয়েছে আংশিক ছাড়। খোলা থাকবে সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫টা।
চা বাগান: চা বাগানে কাজ একেবারে বন্ধ করা হচ্ছে না। ৫০ শতাংশ শ্রমিকের উপস্থিতিতে কাজ হবে সেখানে
জুটমিল : এই শিল্পের ক্ষেত্রেও ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে সব শ্রমিক আসতে পারবেন না। ৩০ শতাংশ কর্মীকে নিয়ে কাজ চালানো যাবে।
ট্যাক্সি (জরুরি পরিষেবা): ট্যাক্সি পরিষেবা বন্ধ থাকলেও জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে ট্যাক্সিতে ছাড় রয়েছে।
বিয়ে বাড়ি: ৫০ জন অতিথিকে নিয়ে বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠান করা যেতে পারে, তবে অবশ্যই করোনার বিধি নিষেধ মানতে হবে।
Be the first to comment