সমস্ত জল্পনার অবসান। এবার সরাসরি রাজনীতির ময়দানে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। সোমবার নির্ধারিত সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের দলের কথা ঘোষণা করলেন তিনি। দলের নাম রেখেছেন ‘জন সূরজ’। জানিয়েছেন, বিহার থেকেই শুরু করবেন ‘জন সূরজে’র কাজ।
রাজনীতিতে তিনি বরাবরই জনতার মন বুঝে চলেছেন। ভোটকুশলী হিসেবে কাজ করার সময় এটাই তাঁর সাফল্যের ইউএসপি। জনমন এত ভাল বুঝতে পারেন বলেই প্রায় সমস্ত নির্বাচনী ফলাফলই মিলিয়ে দিয়েছেন পিকে ‘স্যর’। নিজের রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রেও সেই জনগণকেই প্রাধান্য দিলেন। আনুষ্ঠানিকভাবে দলঘোষণা নিয়ে তাঁর টুইট, জনতার জন্য সুপরিষেবা। আর সেটাই ‘জন সূরজে’র মূল ভিত্তি।
ইঙ্গিত ছিল আগেই। দফায় দফায় আলোচনায় বসেও যখন কংগ্রেস-পিকে দড়ি টানাটানি অব্যাহত রইল, তখনই প্রশান্ত কিশোরের ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ সম্পর্কে আগাম আঁচ পাচ্ছিলেন রাজনীতির বিশেষজ্ঞরা। কেউ কেউ মনে করেছিলেন, আর অন্য কোনও দলের সঙ্গে নয়, এবার নিজেই রাজনৈতিক দল খুলে সরাসরি নির্বাচনী লড়াইয়ে অংশ নেবেন। আবার কারও ধারণা ছিল, ভোটকুশলী হিসেবেই আপাতত কেরিয়ার এগিয়ে নিয়ে যাবেন তিনি। কারণ, তৃণমূলের ভোটকুশলী হিসেবে এখনও যে পিকে রয়েছেন, তা নিশ্চিত করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীই।
তবে পিকে নিজে ধারাবাহিক টুইটে সরাসরি রাজনীতির ময়দানে নামার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। আর সোমবার সকালে প্রকাশ্যে আনলেন ‘জন সূরজে’র আগমন বার্তা। জানালেন, ১০ বছর ধরে চড়াই-উতরাইয়ের মধ্যে দিয়ে অনেকটা সময় পেরিয়েছে ভারতের রাজনীতি। কিন্তু সেভাবে জনতার কাছে পৌঁছতে পারেনি কেউই। গণতন্ত্রের প্রকৃত অর্থ ফুটে ওঠেনি। এবার সেই লক্ষ্য স্থির রেখেই ‘জন সূরজ’ গড়ে তুললেন প্রশান্ত কিশোর।
পিকে নিজে একটা দীর্ঘ সময়ে রাজনীতি করেছেন বিহারের মাটি থেকে। নীতীশ কুমারের জেডিইউ-র দীর্ঘদিনের সদস্য পিকে। বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক এখনও দৃঢ়। ফলে তিনি বিহার থেকেই ‘জন সূরজে’র কাজ সূচনা করবেন তিনি।
Be the first to comment