জামাই ষষ্ঠী বলে কথা, বাজারে সব জিনিষের দাম আগুন হলেও কোনও পরোয়া নেই জামাই থেকে শ্বশুরবাড়ির কারও । সকাল থেকে জামাইকে আদর-সম্মানের জন্য শ্বশুরবাড়ির লোকজন হাজির মিষ্টির দোকানে। দু’বছর ধরে সেভাবে জমিয়ে জামাই ষষ্ঠী অনেকেই পালন করতে পারেননি। এ বছর পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় তার প্রভাব পড়েছে মিষ্টির দোকানে। তাই ফি বছরের লাভের অঙ্ক তুলে নিতে জমিয়ে চলছে মিষ্টি বিক্রি। বাঙালি বরাবরই হুজুকে তাও আবার জামাই ষষ্ঠীর মত বিশেষ দিন। রাজভোগ, কেশর ভোগ, কেশর রসগোল্লা, মালাই দই, আমদই, ফুলবেরি দই-সহ নানা ধরনের মিষ্টির পসরা নিয়ে হাজির মিষ্টির দোকানিরা ৷
হাওড়ার বাসিন্দা সৌরজিত রায় জানালেন, গত দু’বছর পর এবারে জামাই ষষ্ঠী হচ্ছে তাঁর শ্বশুরবাড়িতে। তাই পরিবারের সকলের জন্য জামা কাপড় ও মিষ্টি কেনার পর্ব চলেছে। এই বিশেষ দিনটায় সকলের সঙ্গে আনন্দ করে কাটানোর দিন। এটাকে মিস করা ঠিক নয়।
অপর এক গৃহিণী স্বর্ণদীপা বিশ্বাস বলেন, দু’বছর ধরে জামাইরা অপেক্ষা করে রয়েছে। এই বছর জমজমাট করে পালন করা হবে । রকমারি মিষ্টি কিনছেন তিনি।
তবে গত দু’বছরের তুলনায় এ বছর বিক্রি স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে। মিষ্টি দোকানের ব্যবসায়ী দেবব্রত মাইতি জানলেন, গত দু’বছর করোনার জন্য লকডাউন থাকায় ব্যবসা খুব খারাপ ছিল। এই বছরে তাঁরা রকমারি মিষ্টির ব্যবস্থা করেছেন। দশ টাকা থেকে শুরু করে পঁচিশ টাকা দামের বিশেষ মিষ্টি তৈরি করেছেন তাঁরা। লোকেরা তাঁদের সামর্থ্য অনুযায়ী কিনছেন। জামাই ষষ্ঠীতে যে পরিমাণ মিষ্টি বিক্রি হয়েছে তাতে তাঁরা খুশি। বিশেষ করে রবিবার জামাই ষষ্ঠী হওয়ার জন্য মিষ্টির বিক্রি বিশাল পরিমাণে বেড়েছে।
Be the first to comment