রেণু খাতুনকে চাকরি দেবে রাজ্য সরকার৷ যে কাজটা উনি করতে পারবেন সেই কাজই করবে৷ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ গত শনিবার সরকারি চাকরি পাওয়া ‘অপরাধে’ রেণুর ডান হাত কাঁচি দিয়ে কেটে দিয়েছিল তাঁর স্বামী৷ কেতুগ্রামের সেই ঘটনার পর সোমবার অভিযুক্ত স্বামী শের মহম্মদ ওরফে শরিফুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিস৷
চাকরি নিশ্চয়তার পাশাপাশি বুধবার মমতা জানিয়েছেন, রেণুর কেটে যাওয়া ডান হাত কৃত্রিমভাবে করে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে রাজ্য সরকার৷ আপাতত বছর ২৩-এর এই তরুণীর চিকিৎসা করতে যে টাকা খরচ হয়েছে তাও রাজ্য প্রশাসন পূরণ করার চেষ্টা করবে৷ মমতার কথায়, আমি স্থানীয় প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য কর্তাদের এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলেছি৷
গত শনিবার শের মহম্মদ রেণুর ডান হাত কেটে দেওয়ার পরেও নিজের চাকরি করার সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসেননি বছর ২৩-এর তরুণী৷ সোমবার হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে বা হাতে লেখার অভ্যেস শুরু করেন তিনি৷ আহত-ক্লান্ত রেণুর চোখে-মুখে ছিল লড়াইয়ের ছাপ৷ কবজি থেকে ডান হাত না থাকলেও সব কাজ বা হাতে করার তীব্র জেদ ফুটে উঠেছিল তাঁর মুখে৷
গতকাল রেণুর সঙ্গে দেখা করেছিলেন রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়৷ তাঁর কাছে রেণুর আকুতি ছিল নার্সের চাকরিটা যেন তিনি পান৷ সেই প্রসঙ্গ তুলে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে৷ উনি গোটা বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন৷ রেণু ডান হাত হারিয়েছেন৷ কিন্তু বা হাত আছে৷ বা হাত বা বসে কাজ করতে পারবে এমন কোনও কাজ যাতে তাঁর যোগ্যতা অনুযায়ী পেতে পারে সেই পদক্ষেপ করবে রাজ্য৷
Be the first to comment