ফের নাজেহাল হতে পারেন লোকাল ট্রেনের নিত্যযাত্রীরা। শনিবার গভীর রাত থেকে রবিবার সাড়ে ন’টা পর্যন্ত দমদম শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। দশ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় বিভিন্ন শাখার ৩৮টি লোকাল বাতিল করেছে পূর্ব রেল। দূরপাল্লার আপের ট্রেনগুলিও দেরিতে ছাড়বে। অন্য দিকে ওই সময়ে যে দূরপাল্লার ট্রেনগুলির শিয়ালদহ ও কলকাতা আসার কথা রয়েছে সেগুলি মাঝপথে দীর্ঘক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত?
শিয়ালদহ—দমদমের মাঝে ২২ নম্বর ব্রিজের গার্ডারিংয়ের কাজের জন্য এই বন্ধের সিদ্ধান্ত। ভোর রাত থেকে যে সব আপ ও ডাউন লোকাল ট্রেন বাতিল হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে হাবড়া, ডানকুনি, রানাঘাট, কল্যাণী, দত্তপুকুর, হাসনাবাদ, বারাকপুর, নৈহাটি, বারাসত, শান্তিপুর, বজবজ, গেদে লোকাল। ডাউন গৌড়, দার্জিলিং, কাঞ্চনকন্যা, বালিয়া, পদাতিক এক্সপ্রেসকে পথেই দাঁড় করিয়ে রাখা হবে। এদিকে আপ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসও বেশকিছুক্ষণ দেরিতে ছাড়বে।
অন্যদিকে ট্রেনের অসংরক্ষিত কামরা ফেরানো নিয়েও বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। জুলাই মাসের শুরু থেকেই সব ট্রেনে ফিরে আসছে অসংরক্ষিত কামরা। একেবারে কোভিডের আগের পরিস্থিতিতে নিয়ে আসা হচ্ছে এই পরিষেবাকে। এখন ট্রেনে উঠতে গেলে সিটিং কোচেও (যা সাধারণ কামরা) দিতে হয় ১৫ টাকা। এবার সেই চার্জ লাগবে না। বেশ কয়েক মাস আগে রেলমন্ত্রী অসংরক্ষিত কামরা চালুর নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু একেবারে সাধারণ ইন্টারসিটি ট্রেনগুলিতে সেই ব্যবস্থা চালু হলেও প্রিমিয়াম ট্রেনগুলিতে অসংরক্ষিত কোচ চালু হয়েছিল না। ফলে সিটিং কোচেও রেল রিজার্ভেশন চার্জ ১৫ টাকা করে নিচ্ছিল।
উপরন্তু অসংরক্ষিত কোচ না হওয়ায় দালালচক্র অতি সক্রিয় হয়ে উঠেছিল। এমনকী নির্ধারিত কিছু ডিভিশনও আয় বাড়াতে সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূত কাজ চালিয়ে আসছিল। ফলে নির্ধারিত বুকিং সত্বেও সেই সিটে বসা থেকে শুরু করে পাদানিতে বসে যাত্রা করছিলেন ইএফটি কেটে ট্রেনে চড়া যাত্রীরা। বারংবার এনিয়ে অভিযোগ উঠেছে। রেলমন্ত্রী টুইটার হ্যান্ডেলে অভিযোগের পাহাড় তৈরি হয়েছে। অভিযোগের পাহাড় দেখে নড়েচড়ে বসে রেল। এবার তাই একেবারে কোভিডের আগের মতো অসংরক্ষিত টিকিট চালু হয়ে যাচ্ছে জুলাইয়ের প্রথমে। পূর্বা, কালকার মতো প্রাইম ট্রেনে এই কোচ ফিরে আসতে চলায় খুশি সাধারণ যাত্রীরা।
Be the first to comment