হিংসামুক্ত রইল না পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে গোচা পাকিস্তান জুড়ে ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হয়েছে। তবে, তারই মধ্যে ফের ঘটল জোড়া বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণের জেরে কেঁপে উঠল পাকিস্তানের বালোচিস্তান এবং খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই দুই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। একদিন আগে বালোচিস্তানেই জোড়া বিস্ফোরণ ঘটেছিল। যার জেরে অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নির্বাচনের দিনও উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানে জায়গায় জায়গায় গুলি চলছে এবং বোমা বিস্ফোরণ ঘটছে বলে জানা গিয়েছে।
বালোচিস্তানে ২ নিরাপত্তা কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে আনাদোলু নিউজ এজেন্সি। রাস্তার পাশ থেকে আচমকা হামলা চালান হয়। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও ৯ ব্যক্তি। খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশেও নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ব্যহত করতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। মৃত্যু হয় এক পুলিশ কর্মীর। এই নিয়ে পরপর দ্বিতীয়বার হামলা হল বালোচিস্তানে। নির্বাচনের ঠিক আগের দিনই বালুচিস্তানে জোড়া বোমা বিস্ফোরণে ৩০ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি, আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছিলেন। পিশিন জেলায় এক নির্দল প্রার্থীর অফিসে প্রথম হামলা হয়। ওই ঘটনায় ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে, আফগান সীমান্তের কাছে কিল্লা সাইফুল্লাহতে জমিয়ত উলেমা ইসলাম-এর একটি অফিসে আরও একটি বিস্ফোরণ ঘটে। ওই ঘটনায় কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়।
তবে কারা এই হামলা চালাচ্ছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এখনও পর্যন্ত, কোনও গোষ্ঠীই বুধবারের বোমা হামলার বা এদিনের দুই হামলার দায় স্বীকার করেনি। আফগানিস্তান এবং ইরানের সীমান্তবর্তী এই দুই প্রদেশে প্রায় দুই দশক ধরে স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছে বালোচ জাতীয়তাবাদী বিদ্রোহীরা। তেল সম্বৃদ্ধ এই প্রদেশে, প্রাথমিকভাবে তারা সম্পদের ভাগ চেয়েছিল। পরে তা স্বাধীনতার দাবিতে পরিণত হয়। গত কয়েক বছরে বালোচিস্তান এবং খাইবার পাখতুনখোয়া – দুই প্রদেশেই বারংবার পাকিস্তানি নিরাপত্তা সংস্থাগুলি বিদ্রোহীদের হামলার মুখে পড়েছে। পাকিস্তানি তালিবান এবং অন্যান্য জঙ্গি গোষ্ঠীদেরও এই অঞ্চলে উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি রয়েছে।
Be the first to comment