একাধিক প্রকল্পের কাজে ঢিলেমি। কোথাও শিলান্যাসের পর থেকে কাজ থমকে রয়েছে। আবার কোথাও জমি অধিগ্রহণ হয়ে গেলেও ৪-৫ বছর ধরে থমকে রয়েছে কাজ। পুরুলিয়ায় প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে এ নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বলেন, ‘অনেক কাজ দেখছি, বলা হচ্ছে, আন্ডার প্রসেস। আরে এই আন্ডার প্রসেস ব্যাপারটা কী? খায় না মাথায় দেয়।’
মমতা বলেন, ‘প্রশাসনিক কাজে দ্রুততা আনতে হবে, কাজ ফেলে রাখলে চলবে না। প্রচুর কাজ ৫-৬ বছর ধরে পড়ে রয়েছে। এসবের মানে কী? এত বছর ধরে কেন কাজ হয়নি? গ্রিভান্স সেলে জমা পড়া অভিযোগের সমাধান হতে অনেকটা সময় লেগে যাচ্ছে।’ এ দিন পুুরুিলয়ার প্রশাসনিক বৈঠকেই জমির মিউটেশন করাতে গিয়ে মানুষের হয়রানির অভিযোগে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
মমতার কথায়, বিএলআরও অফিসে গেলে সাধারণ মানুষকে হেনস্থার মুখে পড়তে হচ্ছে। দালালচক্রের শিকার হচ্ছেন অনেকে। বলরামপুর বিএলআরও-র উদাহরণ টেনে মমতা বলেন, বলরামপুর বিএলআরও উল্টো দিকের দুটো দোকানের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ এসেছে। কেউ বিএলআরও অফিসে গেলেই দালালরা সেই দোকানে পাঠিয়ে দিচ্ছে। ফর্ম ফিল আপ, পরচা বার করতে টাকা নিচ্ছে দোকান। পুলিস এ নিয়ে তদন্ত করুক।’
ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকদের রীতিমতো হুশিয়ারি দেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তিনমাস সময় দিচ্ছি। তার মধ্যে সমস্ত সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে হবে। প্রয়োজনে আলাদাভাবে দুয়ারে ক্যাম্প করতে হবে। সেই শিবির থেকে জমি মিউটেশন জাতীয় সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে হবে। আমার কাছে যাতে আর কোনও অভিযোগ এসে না পৌঁছয়। জেলা প্রশাসনকে মমতার নির্দেশ, আমি চাই, সব কাজ সময়ের মধ্যে মিটিয়ে ফেলুন। আন্ডার প্রসেসের তালিকা বাড়াবেন না।
Be the first to comment