একশো দিনের কাজের টাকা চাইতে এবার নিজে দিল্লি যাবঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Spread the love

একশো দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দেওয়ায় ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার আসানসোলে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলার বাড়ি এবং গ্রামীণ সড়ক যোজনার টাকাও আমরা পাচ্ছি না। ফলে কাজ বন্ধ হয়ে রয়েছে। দরকার হলে আমি নিজে গিয়ে দিল্লিতে টাকার দাবিতে দরবার করব।

এদিনও মুখ্যমন্ত্রী জানান, একটা দরজা বন্ধ থাকলে আর একটা দরজা খোলা রাখতে হয় তাই, রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরের মাধ্যমে একশো দিনের কাজ চালিয়ে যাওয়া হবে। একইভাবে জেলা পরিষদ এবং পঞ্চায়েত সমিতিগুলোকে অন্যান্য কাজ বাদ দিয়ে গ্রামীণ সড়ক এবং বাংলার বাড়ি প্রকল্পের কাজে অগ্রাধিকার দিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা এই দুই প্রকল্পে বেশি করে টাকা খরচ করুন। বাকি কাজগুলো আমরা দেখে নেব।

এই প্রসঙ্গে তিনি পঞ্চায়েত ভোটের কথাও স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বলেন, আগামী বছরই পঞ্চায়েত ভোট। এই সময় গ্রামের মানুষ চায় এলাকায় রাস্তাঘাট হোক। তা নাহলে কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট পাওয়া যাবে না।

বেশ কিছুদিন ধরেই রাজ্য সরকার অভিযোগ করে আসছে, কেন্দ্রীয় সরকার একশো দিনের কাজের টাকা প্রায় ৬ মাস ধরে আটকে রেখেছে। অথচ আইন অনুযায়ী ১৫ দিনের মধ্যে জবকার্ডধারীদের টাকা মিটিয়ে দেওয়ার কথা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বার বার বলা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় সরকার বিষয়টি নিয়ে কিছুই করছে না। ফলে বাধ্য হয়ে আমাদের বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবতে হচ্ছে।

সম্প্রতি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের দশ সাংসদের এক প্রতিনিধিদল কেন্দ্রীয় গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং-এর কাছে ১০০ দিনের প্রকল্পে বকেয়া পাওনা নিয়ে দরবার করে। মন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়ে বলা হয়, ওই বাবদ রায় ৭ হাজার কোটি টাকা রাজ্য সরকার কেন্দ্রের কাছে পায়।  এ ব্যাপারে কেন্দ্রের বক্তব্য ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যকে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে গিরিরাজ সিং আশ্বাস দেন। সুদীপের অভিযোগ, আজ পর্যন্ত গিরিরাজ সিং তাঁদের বক্তব্য জানিয়ে উঠতে পারেননি। তিনি ফোনেও মন্ত্রীকে ধরতে পারেননি। সুদীপ জানান, বাধ্য হয়ে তিনি বিষয়টি লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার গোচরে এনেছেন।

এদিনের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আবাস যোজনা এবং গ্রামীণ সড়ক যোজনায় কেন প্রধানমন্ত্রীর নাম রাখা হয়নি সেই কারণে প্রকল্প আটকে দেওয়া হয়েছে। যদি গুজরাত বা রাজস্থানের নাম থাকতে পারে তাহলে বাংলার ক্ষেত্রে কেন বাংলা আবাস যোজনা নাম রাখা যাবে না। এ তো অদ্ভুত যুক্তি।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*