গ্রেফতারির পরেই সুর চড়ালেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। ২০২৪ পর্যন্ত অপেক্ষা করুন মানুষই জবাব দেবে।’ গত বছর ১৪ ডিসেম্বর আসানসোলের গতবছর ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা জিতেন্দ্রর স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারির উদ্যোগে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে কম্বল নেওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি শুরু হয়েছিল। মারা যান একাধিক ব্যক্তি।
কম্বলকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল আসানসোলের বিশেষ আদালত। রবিবার জিতেনকে আদালত থেকে বের করার পথে বিজেপি কর্মীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান ওঠে। পুলিশের গাড়িতে উঠতে উঠতে জিতেন্দ্র বলেন, ‘‘আমার যা লাইফস্টাইল আমি মাটিতেও শুতে পারি। আমার পুলিশ হেফাজত হোক বা জেল হেফাজত, কিচ্ছু যায় আসে না। ’’
একাধিকবার জিতেন্দ্র এবং তাঁর স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। এর পর শনিবার আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা দফতর এবং আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ যৌথ ভাবে অভিযান চালিয়ে নয়ডায় যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে জিতেন্দ্রকে গ্রেফতার করে। সেখান থেকে দমদম বিমানবন্দর হয়ে জিতেনকে নিয়ে যাওয়া হয় দমদমের সরকারি হাসপাতালে। সেখানে স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর তাঁকে নিয়ে আসানসোল নিয়ে যায় পুলিশ।
আদালতে নিজের জন্য সওয়াল করতে গিয়ে জিতেন বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টে আগামিকাল (সোমবার) এই মামলার শুনানি রয়েছে। সে জন্য পুলিশ হেফাজত দিন। কিন্তু দু’দিনের জন্য দিন। তার পরে সুপ্রিম কোর্টের রায় যা হবে তা দেখে প্রয়োজন হলে আরও ১২ দিন পুলিশ হেফাজত দিয়ে দেবেন। কিন্তু আজ ২ দিনের পুলিশ হেফাজত দিন।’’
Be the first to comment