শীত বিদায় নিতেই শুরু করোনার দাপাদাপি! দেশে কোভিড সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। তবে আতঙ্কের কিছু নেই। কিন্তু সতর্কতায় এতটুকু ফাঁক রাখা যাবে না। বুধবার কোভিড এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পরে এমনই বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সংক্রমণ ঠেকাতে নতুন করে মাস্ক পরা, দূরত্ববিধি বজায় রাখার মতো সতর্কতামূলক পদক্ষেপের উপর জোর দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি।
কোভিডের পরিসংখ্যান নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র। অ্যাডিনোভাইরাস ও ইনফ্লুয়েঞ্জার দাপটের মধ্যেই করোনা নতুন করে মাথাচাড়া দেওয়ায় দুশ্চিন্তা বাড়ছে। সেই কারণেই বুধবার উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠক সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, ‘গত দু’সপ্তাহে কোভিড এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমণ বাড়ার কারণেই এই বৈঠক। দু’বছর আগে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের বাড়বাড়ন্তের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল। এ বার দেশে নতুন করে সংক্রমণ বাড়ার আঁচ পেতেই দ্রুত তৎপর হয়েছেন মোদি।সংক্রমণের পুরনো ছবি যাতে আর ফিরে না আসে, তা নিশ্চিত করতেই বুধবার তিনি উচ্চপর্যায়ে বৈঠক করেন।’
প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ের ওই বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ, নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য)-সহ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। দেশের করোনা ও ইনফ্লুয়েঞ্জা পরিস্থিতি পর্যালোচনার পাশাপাশি এই বৈঠকে সংক্রমণের সম্ভাব্য স্ফীতির মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে সামগ্রিক ভাবে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠকের পরে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব বলেন, ‘‘বুধবার দেশে ১,১৩৪টি নতুন সংক্রমণের ঘটনা চিহ্নিত হয়েছে। ৫ জন কোভিড আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে (ছত্তীসগঢ়, দিল্লি, মহারাষ্ট্র, গুজরাট এবং কেরলে ১ জন করে)। এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৭,০২৬।’’তাই এইচ১এন১ এবং এইচ৩এন২ ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকানোর বিষয়টির পাশাপাশি কোভিড রুখতে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে কোভিডবিধি চালু করা, পরীক্ষা বাড়ানো এবং জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের উপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
Be the first to comment