শেখ শাহজাহানের মতো শিবুকেও কি খুঁজে পাওয়া যাবে না? এই জল্পনা যখন শুরু হয়েছিল, তার মধ্য়েই গ্রেফতার হন শিবু হাজরা। সন্দেশখালি-২ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি শিবুর বিরুদ্ধে মোট ৯টি ধারায় মামলা হয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। গত কয়েকদিন ধরে তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে সন্দেশখালি। তাঁর পোলট্রি ফার্মে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল উত্তেজিত গ্রামবাসীরা। কিন্তু তাঁর দেখা পাওয়া যায়নি কোথাও। অভিযোগ সামনে আসার প্রায় ৯ দিন পর গ্রেফতার করা হল শিবুকে। কোথায় ছিলেন এতদিন রবিবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে শিবু হাজরাকে। আদালতে পুলিশের তরফে যে রিমান্ড প্রেয়ার আর আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন শিবু। সেই সময়েই পুলিশের জালে পড়ে যান তিনি। শাসনের দক্ষিণ শিকারি ঘেরি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। পুলিশের সেই নথিতে ‘প্রভাবশালী ব্যক্তি’ হিসেব উল্লেখ করা হয়েছে শিবুকে। পুলিশ সেখানে বলেছে, জামিন পেলে এলাকায় শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে, তদন্তও প্রভাবিত হতে পারে। এই যুক্তিতেই পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানানো হয়। আদালত ৮ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, অভিযোগের কথা স্বীকার করেছেন শিবু। তবে কোনও অভিযোগের কথা, তা উল্লেখ করেনি পুলিশ। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ এ, ৩৫৪ বি, ৩৭৬ ডি, ৩০৭, ৩৪১, ৩২৩, ৫০৬, ৫০৯ ও ৩৪ নম্বর ধারায় মামলা রুজু হয়েছে শিবুর বিরুদ্ধে। বাকি মামলাগুলি আগেই হয়েছিল। পরে এক মহিলার গোপন জবানবন্দি নেওয়ার পর শনিবার মামলায় যুক্ত হয় ৩৭৬ ডি (গণধর্ষণ) ও ৩০৭ (খুনের চেষ্টা) ধারা।
Be the first to comment