অমৃতা ঘোষ :- গত ৩০ জুলাই (মঙ্গলবার) ভারী বৃষ্টির জেরে ধস নেমেছিল কেরালার ওয়েনাড়ে। যার জেরে চুরালমালা, মুন্ডাক্কাই, অট্টামালা, নুলপুঝার মতো গ্রামগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যে ওয়েনাড় পরিচিত ছিল পর্যটকদের অন্যতম পছন্দের জায়গা হিসাবে, যেখানে সারা বছর স্নিগ্ধ, শান্ত পাহাড়ের মনোরম শোভাই ছিল আকর্ষণ সেই ওয়েনাড়ে এখন শুধুই স্বজন হারানোর কান্নার রোল আর চারিদিকে শুধু আর্তনাদ।
এর আগে ওয়েনাড় যাওয়ার কথা থাকলেও যেতে পারেননি রাহুল গান্ধী ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। তবে কথা দিয়েছিলেন, যত দ্রুত সম্ভব পৌঁছে যাবেন। ওয়েনাড়বাসীকে দেওয়া কথা রাখলেন আজ রাহুল-প্রিয়ঙ্কা।
বৃহস্পতিবার ধস-বিধ্বস্ত এলাকা ওয়েনাড়ে পৌঁছে গেলেন তাঁরা। দুর্যোগ এখনও রয়েছে। বৃষ্টি হচ্ছে এখনও। জমে থাকা কাদামাটি প্রতি মূহূর্তে জানান দিচ্ছে, পরিস্থিতি কতটা দুর্বিসহ।
এর মধ্যেই গায়ে বর্ষাতি চাপিয়ে ওয়েনাড়ের চুরালমালা গ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করতে পৌঁছে গেলেন দু’জনে।
একনাগাড়ে টানা বৃষ্টিতে ধস নেমে ওয়েনাড়ের যে চারটি গ্রাম সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার মধ্যে একটি চুরালমালা। গ্রামের উপর দিয়ে কী ‘তাণ্ডব’ বয়ে গিয়েছে, তা চাক্ষুষ দেখলেন তারা উভয়েই। রাহুল ওয়েনাড়ের প্রাক্তন সাংসদ। রাহুলের ছেড়ে দেওয়া আসন ওয়েনাড়ের উপনির্বাচনে এ বার প্রার্থী হয়েছেন প্রিয়ঙ্কা। চুরালমালায় পৌঁছে দু’জনেই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করলেন, তাদের সমস্ত রকম সাহায্য দানের আশ্বাস দিলেন। কথা বললেন সেখানে উপস্থিত প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গেও।
উদ্ধারকাজে টানা কাজ করে চলেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। ইতিমধ্যেই এক হাজার মানুষকে উদ্ধার করে ত্রাণশিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ২২০ জন মানুষ এখনও নিঁখোজ রয়েছেন। তাঁদের খোঁজে চলছে তল্লাশি অভিযান। উদ্ধারকাজ চলছে টানা তিনদিন ধরে। মৃত এবং আহতের পরিমান আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করছে উদ্ধারকারী দল। ১৫০০-র বেশি সেনাবাহিনী টানা কাজ করে চলেছে। এছাড়া এনডিআরএফ, এসডিআরএফ দল টানা নিজেদের কাজ করে চলেছে।
Be the first to comment