রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- শুক্রবার ছিল বিয়ে। কিন্তু পাঁচ দিন আগে হঠাৎ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে গেলেন ২২ বছরের শিবম পালিত। বিয়ের আগের রাতে বৃহস্পতিবার দেহ উদ্ধার হল নদী থেকে। পরিবারের অভিযোগ, শিবমের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁকে খুন করে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। শুক্রবার সকাল থেকে এ নিয়ে চাঞ্চল্য শিলিগুড়ির ফুলবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের গোরামোড় এলাকায়।
খুনের অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের গৌরাঙ্গপল্লির বাসিন্দা এক যুবতীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ফুলবাড়ির শিবমের। যুবক পেশায় সব্জিবিক্রেতা। শুক্রবার তাঁদের বিয়ে ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে শিলিগুড়ি সংলগ্ন ফাঁসিদেওয়া ব্লকের তিস্তা ক্যানাল থেকে পাত্রের দেহ উদ্ধার করে এনজেপি থানার পুলিশ। শুক্রবার ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠানো হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। যুবকের পরিবার সূত্রের খবর, রবিবার থেকে ওই যুবক নিখোঁজ ছিলেন। সোমবার এনজেপি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবার। তদন্তে নেমে বুধবার সকালে শিলিগুড়ির কাঞ্চনবাড়ি এলাকায় একটি ব্রিজে যুবকের স্কুটি উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃতের পরিবারের দাবি, পাত্রী এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে কোনও একটি বিষয়ে বিবাদ চলছিল শিবমের। তার পরেই নিখোঁজ হয়ে যান যুবক। মৃতের দাদা হরিপদ মণ্ডল বলেন, ”গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিল ভাই।” শিবমের মৃত্যুর সঙ্গে পাত্রীপক্ষের যোগসূত্র রয়েছে বলে অভিযোগ করে হরিপদ বলেন, ”পাত্রীর মা সব জানেন। পুলিশ ওঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেই সব জানা যাবে।” তিনি আরও বলেন, ”ওঁদের সঙ্গে ভাইয়ের কোনও একটি বিষয়ে বিবাদ হয়েছিল। আমরা এর তদন্ত চাই।” মৃতের মামা প্রফুল্লচন্দ্র বর্মণ বলেন, ”বিয়ের কেনাকাটা নিয়ে ঝামেলা লেগেছিল। প্রথমে তো মেয়েও (পাত্রী) নিখোঁজ ছিল। পরে পিসির বাড়িতে তাকে পাওয়া যায়। আমাদের মনে হয়, শিবমকে প্রথমে কিডন্যাপ (অপরহণ) করে রাখা হয়েছিল। পরে খুন করে ফেলে দেওয়া হয়েছে।”
যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু প্রসঙ্গে ডিসিপি রাকেশ সিংহ বলেন, ”সব কিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না-আসা পর্যন্ত কিছু বলা সম্ভব নয়।”

Be the first to comment