অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের বড় কোনও প্রভাব পড়েনি শহরের বুকে। যেমনটা মন করা হয়েছিল, তার তুলনায় অনেকটাই কম অনুভূত হয়েছে এই সাইক্লোন। ফলে আগামিকাল, বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে নারদ মামলার শুনানি হতে কোনও বাধা থাকছে না। এর আগে গত সোমবার রাতে হাইকোর্টের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছিল, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে ২৬ ও ২৭ মে কোনও মামলা শুনবে না হাইকোর্ট।
যদিও নারদ মামলা যে ২৬ মে শুনতে পারবেন না সেটা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল। ‘বিশেষ কারণে’ এই মামলা বুধবার তিনি শুনতে পারবেন না বলে জানান। এর মধ্যে গঙ্গা দিয়ে বয়ে গিয়েছে অনেক জল। মামলাটি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে হাজির হলেও খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারেনি সিবিআই। উল্টে আদালত চার অভিযুক্তকে জামিন দেওয়ার জুজু দেখাতেই মামলা প্রত্যাহার করে নেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। একই সঙ্গে যে মামলা হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে ইতিমধ্যেই রয়েছে, তা গ্রহণ করে হাইকোর্টকে নিরুৎসাহিত করতে চায় না বলেই পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিল শীর্ষ আদালত।
ফলে নারদ মামলায় বর্তমানে গৃহবন্দি চার নেতার ভবিষ্যতের ফয়সালা কলকাতা হাইকোর্টের হাতেই থাকছে। এর আগে মামলাটি শুনেছিল ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল এবং অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চ। কিন্তু দুই বিচারপতি নিজেদের রায় নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত থাকায় উচ্চতর বেঞ্চ গঠন করা হয়। এই বৃহত্তর বেঞ্চে রয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল, বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন, বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়, বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত সোমবার এই মামলার শুনানি শুরু হয় উচ্চতর বেঞ্চে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ছাড়া বেঞ্চের বাকি চার সদস্যের চাঁচাছোলা সওয়ালের মুখোমুখি হতে হয় সিবিআই-এর প্রতিনিধি তথা কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে। যদিও চার নেতার ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনও ফয়সালা তখনও নেওয়া হয়নি। মামলাটির মঙ্গলবার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও সেদিন ‘বিশেষ কারণে’ প্রধান বিচারপতি তা শুনতে চাননি। তবে ইয়াসের বেশি প্রভাব কলকাতায় না পড়ায় আগামিকালই সেই শুনানি হবে বলে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
Be the first to comment