২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের অনেকটাই দেরি ৷ কিন্তু এখন থেকেই তার প্রস্তুতি শুরু করতে হবে ৷ মঙ্গলবার দিল্লির মাটিতে দাঁড়িয়ে বিরোধীদের একজোট করা প্রসঙ্গে এমনই মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তবে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন, দিল্লিতে তাঁর সাক্ষাৎপ্রার্থীর তালিকা দীর্ঘ ৷ তার মধ্যে যেমন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল রয়েছেন, সেরকমই রয়েছেন জাভেদ আখতার- শাবানা আজমিরাও ৷
যদিও বিজেপি বিরোধী জোটের নেতৃত্ব কে দেবেন তা নিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করেননি মুখ্যমন্ত্রী ৷ তিনি বলেন, ‘দেশ নেতৃত্ব দেবে, আমরা শুধু অনুসরণ করব ৷’ বিরোধীদের এক ছাতায় তলার নিয়ে আসার বিষয়েও তিনি কতটা আশাবাদী? এই প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আশাবাদী বলেই তো একসঙ্গে এগোচ্ছি ৷’ তবে মমতা ইঙ্গিত দিয়েছেন, আপাতত বিরোধীদের সঙ্গে সমন্বয় বাড়ানোর কাজ সেরে রাখলেও করোনা অতিমারি মিটলেই বিজেপি বিরোধী জোট গঠনের কাজে আরও তৎপরতা চান তিনি ৷
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন জানিয়েছেন, বুধবার সকালে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করবেন তিনি ৷ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালও সময় চেয়েছেন ৷ সম্ভবত বৃহস্পতিবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হবে মমতার ৷ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন কবি, গীতিকার জাভেদ আখতার এবং শাবানা আজমিও তাঁর সঙ্গে দেখা করতে সময় চেয়েছেন ৷ তাঁদের সঙ্গেও দেখা করবেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তবে এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের সঙ্গে তাঁর বৈঠক করার বিষয়ে কোনও কথা হয়নি বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
মঙ্গলবারই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ কংগ্রেসের দুই শীর্ষ নেতা কমল নাথ এবং আনন্দ শর্মাও দেখা করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ৷ তবে লোকসভা নির্বাচনের আগে বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনকেও যে তিনি পাখির চোখ করছেন, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তিনি বলেন, ‘২০২৪-এর এখনও দেরি আছে ৷ এখন থেকেই তার পরিকল্পনা করতে হবে ৷ কিন্তু তার আগে উত্তর প্রদেশ, পঞ্জাব, ত্রিপুরার মতো বিভিন্ন রাজ্যে নির্বাচন আছে ৷ এই তো ত্রিপুরায় আমাদের ছেলেদের গৃহবন্দি করে রাখা হলো ৷’
প্রসঙ্গত, রবিবার থেকে আগরতলার একটি হোটেলে তৃণমূলের হয়ে সমীক্ষার কাজ করতে যাওয়া আইপ্যাক-এর কয়েকজন কর্মীকে আটকে রেখে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে ত্রিপুরা পুলিশের বিরুদ্ধে ৷ এ দিন দিল্লিতেও সেই প্রসঙ্গ তুলে মমতা বুঝিয়ে দিলেন, ত্রিপুরাকে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল ৷
Be the first to comment