পার্ক স্ট্রিট গণধর্ষণকাণ্ডে নয়া মোড়। মূল অভিযুক্ত কাদের খানের বিচারপর্বে গৃহীত হবে না নির্যাতিতা সুজেট জর্ডনের বয়ান। শুক্রবার এমনটাই নির্দেশ দিল বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ। যার ফলে কাদেরের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করা আরও কঠিন কাজ হয়ে যাবে পুলিশের পক্ষে, এমনটাই মত আইনজীবী মহলের।
২০১২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে পার্ক স্ট্রিটের (Park Street) এক নাইট ক্লাব থেকে ফেরার পথে গাড়িতে গণধর্ষণের শিকার হন সুজেট জর্ডন৷ এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায় রাজ্য রাজনীতিতে৷ তড়িঘড়ি নড়েচড়ে বসে প্রশাসন৷ কলকাতা পুলিশকে ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়৷ আইপিএস (IPS) দময়ন্তী সেনের তত্ত্বাবধানে তদন্ত করে পুলিশ গ্রেপ্তার করে অভিযুক্ত ৪ জনকে৷ কিন্তু মূল অভিযুক্ত কাদের খান ও তার সঙ্গী আলি পুলিশের নাগালের বাইরে চলে যায়। ঘটনার বছর তিনেক বাদে ২০১৫ সালে নির্যাতিতা সুজেটের মৃত্যু হয়। সুজেটের মৃত্যুরও বছরখানেক বাদে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে মূল অভিযুক্ত কাদের ও তার সঙ্গী আলি।
এই গণধর্ষণকাণ্ডের প্রথম পর্যায়ে চার অভিযুক্তের বিচারপর্ব শুরু হয় নিম্ন আদালতে। সেই বিচারপর্বে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন নির্যাতিতা সুজেট জর্ডন। তবে তখনও কাদের গ্রেপ্তার হয়নি। পুলিশ কাদেরকে গ্রেপ্তার করার পর, প্রথম চার অভিযুক্তের বিচারপর্বে সুজেটের দেওয়া বয়ান কাদের খানের বিচারপর্বেও ব্যবহার করার অনুমতি চায় নিম্ন আদালতে। নিম্ন আদালত পুলিশকে সেই অনুমতি দিয়েও দেয়। কিন্তু নিম্ন আদালতের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করে কাদের।
এদিন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ কাদের খানের আবেদনের ভিত্তিতে নিম্ন আদালতের সেই নির্দেশ খারিজ করে দিল। হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিল, কাদের খানের বিচারপর্বে গৃহীত হবে না সুজেট জর্ডনের বয়ান। প্রশ্ন উঠছে কাদের খানের বিচারপর্বে সুজেটের বয়ান গ্রহণযোগ্য না হলে আদৌ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রমাণ করা যাবে তো? ঘটনার মূল অভিযুক্ত কাদের খান খালাস পেয়ে যাবে না তো?
Be the first to comment