ইডির যাবতীয় যুক্তি খারিজ। চিকিৎসার জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে ১০ জুন পর্যন্ত বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ততদিন পর্যন্ত কোনও নোটিস দিতে পারবে না, এমনই জানিয়েছেন বিচারপতি বিবেক চৌধুরী। সূত্রের খবর, কয়লা ও গরু পাচার মামলার তদন্তে ইডিকেই ভর্ৎসনা করেছেন তিনি। আদালত এও জানিয়েছেন, বিদেশে চিকিৎসার জন্য অভিষেকের সঙ্গে যেতে পারবেন স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
এই অনুমতির পাশাপাশি অবশ্য হাইকোর্ট বেশ কিছু শর্তের কথাও জানিয়েছে। বিচারপতির নির্দেশ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিমান টিকিটের কপি ইডিকে দিতে হবে। দুবাই গিয়ে তিনি কোন ঠিকানায় উঠছেন এবং সেখানকার যোগাযোগের নম্বরও ইডিকে জানাতে হবে। যে হাসপাতালে অভিষেকের চিকিৎসা হবে, তার ঠিকানাও জানাতে হবে তদন্তকারীদের।
২০১৬ সালের অক্টোবরে সিঙ্গুরের কাছে সড়ক দুর্ঘটনায় চোখে আঘাত পেয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আঘাতপ্রাপ্ত চোখের চিকিৎসা করতে তাঁকে মাঝেমধ্যে দুবাই যেতে হয়। কিন্তু ইডি নোটিস দিয়ে জানিয়েছিল, আপাতত অভিষেকের বিদেশ যাওয়া চলবে না। সেই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তৃণমূল নেতা। জরুরি ভিত্তিতে শুনানি হয় আজই।
সূত্রের খবর, ইডির দাবি ছিল, অভিষেক দুবাই গেলে কয়লা ও গরু পাচার কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত বিনয় মিশ্রর সঙ্গে যোগাযোগ হতে পারে তাঁর। সেই যুক্তিতেই তাঁর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। অভিষেকের আইনজীবীর পালটা যুক্তি ছিল, দুবাইয়ের বদলে তিনি অন্য কোনও দেশেও চিকিৎসার জন্য যেতে পারেন অভিষেকের। তাতে অসুবিধা নেই। বৃহস্পতিবার দুপুরে শুনানিতে হাই কোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরী ইডিকেই ভর্ৎসনা করেছেন। প্রশ্ন তুলেছেন, কয়লা ও গরু পাচার তদন্তের কিনারায় কী করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট? এরপর তিনি জানান, দুবাই গেলে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের বিনয় মিশ্রের সঙ্গে যোগাযোগ নিয়ে ইডি যে আশঙ্কা করছে, তা অমূলক।
Be the first to comment