মঙ্গলবার, ইডি দফতরে হাজিরা দিচ্ছেন না সঞ্জয় রাউত। অন্যদিকে, শিবসেনা বিদ্রোহী একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠী মহারাষ্ট্রে রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারির কাছে দরবার করার চিন্তাভাবনা করছে। রাজ্যপালের কাছে শিন্ডে গোষ্ঠী মহা বিকাশ আঘাড়ি জোটের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের কথা জানানোর কথা ভাবছে রাজ্যপালকে।
যদিও মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে একনিষ্ঠ ঘনিষ্ঠ শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত মঙ্গলবার জানান, গুয়াহাটি থেকে কয়েকজন বিদ্রোহী বিধায়ক এখনও তাঁদের সঙ্গ সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছেন। তাঁরা ফিরে আসবেন বলে আশাবাদী সঞ্জয় রাউত। তবে তাঁর এই দাবিতে জোর নেই, তা বোঝা গেল, এরপরই তিনি আরও বলেন, বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবীশের উচিত নয় এমভিএ সরকারকে ফেলার মধ্যে নাক গলানোর। তিনি যদি এটা করেন, তাহলে তাঁর দল বিজেপি, তিনি নিজে এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নামই কলঙ্কিত হবে।
মঙ্গলবার তাঁকে ইডি তলব করেছিল। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, এদিন আমার আলিবাগে একটি সভা আছে। সেখানে ভাষণ দেওয়ার কর্মসূচি আগে থেকেই নির্ধারিত হয়ে আছে। তাই আমি ইডির দফতরে হাজিরা দিতে পারব না। এটা আইনি লড়াই। তোমরা ইচ্ছে হলে আমাকে গ্রেফতার করতে পারো, বলেন সঞ্জয় রাউত।
এদিন সকালেই ফের একবার একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠীকে তীব্র শ্লেষে বেঁধেন শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত। গুয়াহাটিতে ঘাঁটি গেড়ে থাকা বিদ্রোহীদের মূর্খ বলে গাল পাড়েন তিনি। মুম্বইয়ে পাটরি চাল জমি কেলেঙ্কারিতে মঙ্গলবারই সঞ্জয় রাউতকে তলব করেছে ইডি। কিন্তু, ইডির মুখোমুখি হওয়ার আগেই এদিন সকালে ট্যুইট করে সঞ্জয় বলেন, ওরা মূর্খ। হেঁটেচলে বেড়ালেও ওরা এখন মৃত মানুষের মতোই। ওদের আর কোনও অস্তিত্ব নেই। ইমাম আলির একটি উদ্ধৃতির উল্লেখ করে রাউত ট্যুইটে লিখেছেন, জাহালাতের মানে হচ্ছে অশিক্ষা। যা একপ্রকার মৃত্যুরই শামিল। আর জাহিল বা মূর্খরা হল চলাফেরা করা মৃত মানুষ।
এর আগেও সঞ্জয় রাউত বিদ্রোহীদের জীবন্মৃত বলে ব্যাখ্যা করেছিলেন। তা নিয়ে বিতর্ক ঘনিয়ে ওঠায় ফের নিজেই ব্যাখ্যা করে জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি আসলে কী বলতে চেয়েছিলেন। এদিন ফের বিদ্রোহীদের মূর্খের ভূত বলে বিঁধলেন উদ্ধব ঠাকরে ঘনিষ্ঠ সঞ্জয় রাউত।
Be the first to comment