পাহাড়ে নতুন সূর্যের উদয়। এককভাবে জিটিএ দখল করল ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা। উল্লেখযোগ্য ভালো ফলাফল হল তৃণমূল কংগ্রেসের। জিটিএতে মোট ৪৫টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ১০টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। তার মধ্যে পাঁচটিতে তৃণমূল প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। এই প্রথম জিটিএ-র ভোটে তৃণমূল খাতা খুলতে পারল।
প্রায় দশ বছর পর পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচন হল। এই ভোট ঘিরে নানা জটিলতা চলছিল বহুদিন ধরে। ভোট বাতিলের দাবিতে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রধান বিমল গুরুং শিংমারিতে আমরণ অনশনে পর্যন্ত বসেছিলেন। তবে অসুস্থ হওয়ার ছদিনের মধ্যেই গুরুং অনশন তুলে নেন। পরে মত বদলে মোর্চা ভোটে অংশ নেয়। বেশকিছু আসনে তারা নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সাতটি আসন পেয়েছে। সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে অনিত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা। তারা পেয়েছে ২৬টি আসন। ভালো ফল করেছে পাহাড়ের রাজনীতিতে নতুন উঠে আসা হামরো পার্টিও। তারা পেয়েছে সাতটি আসন। ভোট বয়কট করেছিল সিপিআরএম, জিএনএলএফ এবং বিজেপি। জিএনএলএফ ভোট বাতিলের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও করে। হাইকোর্ট তাদের আবেদন খারিজ করে দেয়।
জিটিএর এই ভোট বুঝিয়ে দিল পাহাড়ের মানুষ রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গণতান্ত্রিক পথেই পাহাড়ের উন্নয়ন চায়। গত ২৬ জুন ভোটের দিন পাহাড়ে নাগরিকদের মধ্যে ভোট দেওয়ার উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। ভোটে বড় ধরনের কোনও গোলমালও হয়নি।
Be the first to comment