৪৮ তম কলকাতা বইমেলার সূচনার পাশাপাশি নিজের লেখা ৩টে বই প্রকাশ করলেন মমতা

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা :-আটচল্লিশ বার হাতুড়ি ঠুকে ৪৮ তম কলকাতা বইমেলার সূচনা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারতে নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত ফিলিপ আকারান, সাহিত্যিক আবুল বাশার, গ্যোটে ইনস্টিটিউটের আঞ্চলিক অধিকর্তা মার্লা স্টুকেনবের্গ, পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে মজার ছলে মুখ্যমন্ত্রী জানান, এবার ভেবেছিলেন যে বইমেলার উদ্বোধন করবেন না। কিন্তু গিল্ডের কর্তারা তাঁর হাত দিয়েই বইমেলার সূচনা করতে চান। সেইমতো এবারও তিনি বইমেলার উদ্বোধন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। আর আনুষ্ঠানিকভাবে বইমেলার উদ্বোধনের পরে নিজের তিনটি বই প্রকাশ করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। সেগুলি হল – ‘লিপিবদ্ধ কিছু কাজ’, ‘স্যালুট ২’, এবং ‘বাংলার নির্বাচন ও আমরা’। তারইমধ্যে সকলকে ‘বই শুভেচ্ছা’ জানান মুখ্যমন্ত্রী।

আজ অর্থাৎ, ২৮ জানুয়ারি থেকে বইমেলার সূচনা হল। এবারও সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে হচ্ছে বইমেলা। চলবে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন বেলা ১২ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত বইমেলা চলবে। এ বছর বইমেলার থিম কান্ট্রি জার্মানি। সেই সাথে এবার থাকছে ব্রিটেন, আমেরিকা, ফ্রান্স, রাশিয়া, স্কিন, পেরু, আর্জেন্টিনা সহ বেশ কিছু দেশের পাবলিশার্সরা।
মঙ্গলবার উদ্বোধনের পরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন,’ বই আমাদের প্রেরণা। বই আমাদের দিশা। বইমেলা আমাদের গর্ব। বইমেলা দেশের সেরা।’ সেইসঙ্গে মমতা আরও জানান,’ ডিজিটাল যুগেও কমেনি বইমেলার জনপ্রিয়তা। ২০২৪ সালে বইমেলায় ৩০ কোটি বেশি ব্যবসা হয়েছে। ২৭ লক্ষ মানুষ বইমেলায় এসেছিলেন। এবার আশা করি, তার চেয়ে বেশি বই বিক্রি হবে। আরও বেশি মানুষ আসবেন। আগের মত অস্থায়ী নয় বরং এখন স্থায়ী বইমেলা প্রাঙ্গণ রয়েছে। ‘
তবে এই বছর বইমেলা প্রাঙ্গণের গেট গুলির নামকরণ করা হয়েছে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের নামে। যেখানে থাকছে সলিল চৌধুরী গেট, ঋত্বিক ঘটক গেট, গোয়েটে গেট, ম্যাক্স মুলার গেট, বিশ্ব বাংলা গেট এবং জীবনানন্দ নজরুল গেট। সেই সাথে বই মেলার বিভিন্ন সরণির নাম জার্মানি ব্যক্তিবর্গের নামে করা হয়েছে। যেমন রিলকে, ব্রেকট, কাফকা, মুলার। তবে এই বছর মেলায় নেই বাংলাদেশের কোন বইয়ের স্টল। দুই দেশের মধ্যে বর্তমান সম্পর্ক ও পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এ বছর তাদের সাথে কোন কোন যোগাযোগ স্থাপন করা হয়নি।
বলা বাহুল্য, বইমেলায় মোট ১০৫০টি স্টল থাকবে। গত বছরেও একই ছিল। ভারতের প্রায় সব রাজ্যের প্রকাশনা সংস্থা থাকছে। মেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট, দমকল বিভাগ এবং অন্যান্য প্রশাসনিক সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*