রোজাদিন ডেস্ক, কলকাতা:- ব্যাক্তিগত কাজে ঝটিকা সফরে কলকাতায় এসে প্রদেশ কংগ্রেসের রাজ্য কার্যালয়ে ঘুরে গেলেন জাতীয় কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য, সর্ব ভারতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রীমতী দীপা দাশমুন্সী।
কংগ্রেস নেত্রী ২০২৩ সাল থেকে এআইসিসির তেলেঙ্গানা রাজ্যের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব সামলাছেন। পাশাপাশি জাতীয় কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য থাকায় বেশিরভাগ সময় তিনি দিল্লি এবং তেলেঙ্গানা রাজ্যেই থাকেন। মঙ্গলবার ব্যক্তিগত কাজে কলকাতায় এসে সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সদর দফতর ‘বিধান ভবন’-এ উপস্থিত হন। সেখানে তাঁকে উত্তরীয় পরিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি শুভঙ্কর সরকার। উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের জন্য নিযুক্ত পর্যবেক্ষক তথা সর্ব ভারতীয় কংগ্রেস কমিটির সম্পাদক অম্বা প্রসাদ। দীর্ঘ দিন পরে নেত্রীকে কাছে পেয়ে উপস্থিত কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের উচ্ছ্বাস ছিলো এদিন চোখে পড়ার মতো।
সূত্রের খবর, আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার ৪৮তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বই মেলায় কংগ্রেসের মুখপত্র ‘কংগ্রেস বার্তা’র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে অন্যান্য নেতৃত্বর সঙ্গে তিনিও উপস্থিত থাকতে পারেন বলেই জানা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, দীপা দাশমুন্সি ইউপিএ আমলে জাতীয় রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁর প্রয়াত স্বামী প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির অনুপস্থিতিতে রায়গঞ্জ কেন্দ্র থেকে তিনিই কংগ্রেসের লোকসভা প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়ে সংসদে যান। ২০০৯ থেকে ২০১৪ মনমোহন সিং-এর আমলে সংসদে ও দলীয় সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। তারপর ২০১৬ সালে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের কেন্দ্র ভবানীপুর থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দাঁড়ান তিনি। সেখানে পরাজিত হয়ে দলের সাংগঠনিক কাজে মনোনিবেশ করেন। এরপরই দক্ষিণ ভারতে কংগ্রেসের ‘চাণক্য’ হয়ে উঠছেন বাংলার মেয়ে। প্রয়াত কংগ্রেস নেতা প্রিয়রঞ্জন দাস মুন্সির পত্নী দীপা দাসমুন্সীর হাতেই রয়েছে তেলেঙ্গানার দায়িত্ব। ২০২৩ সালে তেলেঙ্গানায় বিধানসভা নির্বাচনের সময় রাজ্যের পর্যবেক্ষক হিসেবে যোগ দেন তিনি। তাঁর সাজানো কৌশলেই কেসি রাওয়ের দূর্গে ফাটল ধরিয়েছে কংগ্রেস। ২৩ সালে কর্ণাটকেও বিজেপিকে হারিয়ে অপ্রত্যাশিত জয় পেয়েছে কংগ্রেস। তারপর থেকেই দক্ষিণে কংগ্রেসের জেতার পথ অনেকটাই মসৃণ হয়ে ওঠে। কর্ণাটকের জয়ের সুরেই তেলেঙ্গানায় পালা বদলের স্বপ্ন বুঁনতে শুরু করে রেবন্ত রেড্ডিরা। এরপর সেখানে প্রিয়রঞ্জন জায়ার হাত ধরেই তেলেঙ্গানায় ফিনিক্স পাখির মতো উত্থাণ ঘটায় হাত শিবির। এরপরই তেলেঙ্গানায় দীপার হাত ধরে দল পরিবর্তন করতে শুরু করে বিরোধী নেতারা। যা দেখে বিষয়টিকে অমিত শাহের ‘অপারেশন লোটাস’ এর সঙ্গেও তুলনা করা হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে।
Be the first to comment