মহাকুম্ভে পদপিষ্ট পুণ্যার্থীদের সংখ্যা কত? সঠিক তথ্য নেই যোগী সরকারের কাছে

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- মহাকুম্ভের সঙ্গমে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা। অনেকের হতাহতের আশঙ্কা। বুধবার ভোর থেকেই পুণ্যস্নানে ভিড় জমিয়েছেন কোটি কোটি পুণ্যার্থী। মৌনী অমাবস্যায় তিল ধারণের জায়গা নেই সঙ্গম চত্বরে। স্থানীয় এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানান, প্রবল জনজোয়ারের চাপে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়। ৫০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে যোগীকে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।খোঁজ নেন পরিস্থিতির। চলছে উদ্ধারকাজ।

ছবি সৌজন্যে : এএনআই

আহতদের স্বরূপরাণী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার রাত দেড়টা নাগাদ সঙ্গম উপকূলে এই ঘটনা ঘটে। ঠেলাঠেলিতে অনেকে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর লোকজন তাদের পিষে দিয়ে এগিয়ে যায়। এতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। এই ঘটনায় নিহতদের সঠিক পরিসংখ্যান এখনও জানা যায়নি। আহতদের সঙ্গম ব্যাংক থেকে অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কর্ণাটক থেকে আগত সরোজিনী নামে এক মহিলা পুণ্যার্থী হাসপাতালের বাইরে কাঁদতে কাঁদতে সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেন,”আমরা দুটি বাসে ৬০ জনের একটি দল এসেছি। আমরা দলে নয়জন ছিলাম। হঠাৎ ভিড়ের মধ্যে ধাক্কা লেগেছিল এবং আমরা আটকে পড়েছিলাম। আমরা অনেকেই পড়ে গিয়েছিলাম এবং ভিড় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল। পালানোর কোনও সুযোগ ছিল না, চারদিক থেকে ধাক্কাধাক্কি হচ্ছিল। পদদলিত হওয়ার পর অনেকে ঘটনাস্থলেই পড়ে ছিলেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। ভিড়ের মধ্যে মানুষ নিজেদের প্রিয়জনকে খুঁজছিলেন। যাদের প্রিয়জন মারা গিয়েছে তারা চিৎকার করতে থাকে।”

পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় উদ্ধারকাজ চলছে। ছবি সৌজন্যে : পিটিআই

এই বিষয়ে মহাকুম্ভ মেলা স্পেশাল ডিউটি ​​অফিসার আকাঙ্খা রানা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “সঙ্গমে ব্যারিকেড ভেঙে কিছু লোক আহত হয়েছে। তবে আহতদের সঠিক হিসাব এখনও আমাদের কাছে নেই। মেলা চত্বরে অস্থায়ী কেন্দ্রীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে তাদের। কয়েকজন প্রশাসনিক কর্তা ও পুলিশ কর্মকর্তাদের পাশাপাশি আহতদের পরিবারের লোকজনও সেখানে পৌঁছেছেন।”

মৌনী অমাবস্যায় অমৃতস্নান হল মহাকুম্ভের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ও তাৎপর্যপূর্ণ আচার। সেই উপলক্ষে বুধবার সঙ্গমে প্রায় ১০ কোটি পুণ্যার্থীর ভিড় হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ১৪৪ বছর পর ‘ত্রিবেণী যোগ’ নামে একটি বিরল যোগ এই দিনটির আধ্যাত্মিক তাৎপর্য আরও বাড়িয়ে তুলেছে। তাতেই এই জনবিস্ফোরণ।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*