সিংহ-শুমারি সহ ৯টি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রীর

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- একেবারে অন্য মেজাজে প্রধানমন্ত্রী। গাছে ঝুলন্ত ওরাংওটাং-এর সঙ্গে মজা করলেন, সিংহ এবং সিংহ শাবককে খাবার খাওয়ালেন, চিতাবাঘের ছানার গায়ে হাত বুলোলেন, গন্ডারের ছানাদের দুধ খাওয়ালেন, খেতে দিলেন জিরাফকেও!

গুজরাত সফরে রয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার তৃতীয় দিনে আনন্ত আম্বানির উদ্যোগে তৈরি ভান্তারা প্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্র ঘুরে দেখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অত্যাধুনিক পশু আশ্রয়কেন্দ্রটি ৩ হাজার একর জুড়ে বিস্তৃত। সেখানে ২,০০০-এর বেশি প্রজাতির প্রায় দেড় লক্ষ বিপন্ন ও উদ্ধার হওয়া প্রাণী রয়েছে। এদিন ভান্তারায় প্রধানমন্ত্রী মোদিকে বিভিন্ন প্রাণীর সঙ্গে খেলা করতে ও তাদের খাওয়াতে দেখা যায়।
ভান্তারায় কী করলেন মোদি, সেই নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে যে, প্রধানমন্ত্রী এক ওকাপির গায়ে আলতো করে হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। খোলা আকাশের নীচে শিম্পাঞ্জিদের সামনে এসে দাঁড়াচ্ছেন, ওরাংওটাংকে জড়িয়ে ধরে খেলছেন, এবং হিপোপটেমাস, কুমির, জেব্রা, জিরাফ, সিল ও এই ধরনের বিভিন্ন প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন।
এরপরেই বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে এশিয়াটিক সিংহ-শুমারি সহ ৯টি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এরমধ্যেই সিংহ সদন থেকে কয়েকজন মন্ত্রী এবং বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তাদের সঙ্গে সোমবার সকাল হতেই জঙ্গল সাফারিতে রওনা দেন মোদী। জানা গিয়েছে, সাফারির পর গির বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের সদর দফতর সাসান গিরে জাতীয় বন্যপ্রাণী বোর্ডের সপ্তম বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন মোদী।বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব-সহ অনেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও এদিন জুনাগড়ে ন্যাশনাল রেফারেল সেন্টার ওয়াইল্ড লাইফ-রও উদ্বোধন করেন। বৈঠক শেষ হওয়ার পর সাসানের মহিলা বনকর্মীর সঙ্গে আলোচনাও করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠক শেষে ৯টি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রক এক বিবৃতিতে বলেছে, চলতি বছরের মে মাস থেকেই দেশে হবে ১৬তম এশিয়াটিক সিংহদের গণনা। এছাড়াও কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে উন্নত প্রযুক্তি, ট্র্যাকিং, পূর্বাভাসের জন্য গ্যাজেট দিয়ে দেবে। মানব-বন্যপ্রাণী সংঘাতের হটস্পটগুলিতে নজরদারি এবং অনুপ্রবেশ সনাক্তকরণ ব্যবস্থা নির্ধারণ করতে এগুলি সহায়তা করবে। প্রধানমন্ত্রী মোদী জঙ্গলে দাবানল এবং মানুষ-প্রাণী সংঘর্ষের মতো সমস্যা মোকাবেলায় রিমোট সেন্সিং এবং জিওস্পেশিয়াল ম্যাপিং, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মেশিন লার্নিং ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন। বিশেষত অত্যন্ত সংবেদনশীল এলাকায় বনের দাবানল পর্যবেক্ষণ, সনাক্তকরণ, প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী মহাকাশ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ভারতের ফরেস্ট সার্ভে, দেরাদুন এবং বিআইএসএজি-এন-এর মধ্যে সহযোগিতার পরামর্শ দিয়েছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদী ঘোষণা করেছেন যে চিতা প্রবর্তন মধ্যপ্রদেশের গান্ধীসাগর অভয়ারণ্য এবং গুজরাটের বান্নি তৃণভূমি-সহ অন্যান্য অঞ্চলে সম্প্রসারিত করা হবে। তিনি বাঘ সংরক্ষণে একটি প্রকল্পও ঘোষণা করেছেন। এই উদ্যোগের লক্ষ্য স্থানীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে সহাবস্থান নিশ্চিত করা। পাশাপাশি দেশে কুমিরের সংখ্যা হ্রাসের কথাও স্বীকার করে এবং তার সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে নতুন প্রকল্প শুরু করার ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও, তিনি একটি জাতীয় গ্রেট ইন্ডিয়ান বাস্টার্ড সংরক্ষণ পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*