হুগলি নদীর তীরে স্বপ্নটা প্রথম দেখিয়েছিল এই সরকারই। কিন্তু হুগলির অন্যতম প্রাচীণ জনপদ উত্তরপাড়ায় সেই ফিল্ম সিটির স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়নি। এবার লালমাটির পুরুলিয়ায় দক্ষিণ ভারতের রামোজি ফিল্ম সিটির আদলে ‘সিনেমা শহর’ গড়ার স্বপ্ন দেখালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। ঘোষণা করলেন, পুরুলিয়ায় তৈরি হতে চলেছে ফিল্ম সিটি।
২০১১-তে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পরই টলিউড শিল্প নতুন করে সেজে উঠতে শুরু করে। টলিউডের একাধিক কলাকুশলীকে দলে এনে তাঁদের যোগ্য সম্মান দেন মমতা। তাঁর হাত ধরে ভেঙে পড়া বাংলা সিনেমা ঘুরে দাঁড়ায়। একাধিক সিনেমার শ্যুটিং শুরু হয় রাজ্য সরকারের উদ্যোগে। একসময় যে বাংলায় সিনেমা শ্যুটিং হত না, তৃণমূল সরকারের আমলে সেই ছবিটা পুরোপুরি পাল্টে যায়।
বনধ, অবরোধ, বিক্ষোভ ভুলে বাংলায় সিনেমা শিল্প বিশ্বের দরবারের ঠাঁই পেয়েছে মমতার হাত ধরে। তৃণমূল নেত্রীর আমলেই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র বিশ্বের দরবারে প্রশংসিত হয়েছে। বাম আমলে নন্দনের গণ্ডির মধ্যে আটকে থাকা চলচ্চিত্র উৎসবকে নেতাজি ইন্দোর স্টেডিয়ামে এনে সর্বজনীন রূপ দিয়েছেন মমতা।
সমস্যা ছিল শ্যুটিংয়ের স্থান নিয়ে। একাধিকবার বাংলায় ফিল্ম সিটি গড়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রামোজি ফিল্ম সিটির কর্ণধার রামোজি রাওয়ের সঙ্গে মমতার একান্ত আলাপচারিতাতেও সেকথা উঠে এসেছে বারবার। কালীঘাটের বাড়িতে রামোজি রাও যখন এসেছিলেন, সেদিনও এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। তখন অবশ্য মমতা মুখ্যমন্ত্রী হননি। বাংলায় ফিল্প সিটি গড়লে তিনি যে সবরকম সাহায্য করতে প্রস্তুত, সেকথাও ব্যক্তিগত আলাপচারিতার বারবার বলেছেন রামোজি। মঙ্গলবার পুরুলিয়ার ফিল্ম সিটি গড়ার কথা ঘোষণা করেই বাংলায় সেই স্বপ্ন সফরের রাস্তায় নতুন মাইলস্টোন পুঁতলেন মমতা।
Be the first to comment