কিষান মান্ডিতে ধান কেনায় বিস্তর গরমিলের অভিযোগ। কোথাও চাষিদের কাছ থেকে কেনা হচ্ছে ধান তো কোথাও আবার ওজনের যন্ত্র গরমিল করে রাখা রয়েছে। ফলে অনেক কম টাকা পাচ্ছেন চাষিরা। এমনই সব অভিযোগ জমা পড়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দপ্তরে। অভিযোগের তীর সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে। সেই গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ নিয়ে বাঁকুড়ার প্রশাসনিক সভায় হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন মমতা। একাধারে যেমন সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন তিনি। তেমনই আবার গরমিল রুখতে একাধিক নির্দেশিকাও দিলেন।
মঙ্গলবারের প্রশাসনিক সভা চলাকালীন পরপর তিনটি অভিযোগের উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। ছাতনা, হিরবাঁধের পায়রাচালি গ্রাম এবং বিষ্ণুপুরের বাঁকাদহ গ্রামের কিষান মান্ডি নিয়ে অভিযোগ ওঠে। বলা হয়, চাষিদের থেকে সরাসরি ধান কিনছেন না কিষান মান্ডির আধিকারিকরা। বারবার ধান নিয়ে গেলেও ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, অভিযোগ ওঠে ধানের ওজনে গরমিল নিয়েও। দেখা যায়, কিষান মান্ডির ওজন পরিমাপক মেশিনে সমস্যা থাকছে। ফলে বেশি ধান বিক্রি করেও কম টাকা পাচ্ছেন চাষিরা। এর পরই কিষান মান্ডির দায়িত্বে থাকা জেলার খাদ্য ও খাদ্য বন্টন দপ্তরের আধিকারিককে ভর্ৎসনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
কিষান মান্ডির দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলার খাদ্য নিয়ামক আধিকারিক শেখ আলিমুদ্দিন অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে নেন। পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রীকে সাফাই দেওয়ার চেষ্টাও করেন তিনি। তবে কাজ হয়নি। কিষান মান্ডির দায়িত্বে থাকা অভিযুক্ত আধিকারকিরা কেন এখনও চাকরি করছেন, কেন দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। এর পরই বাঁকুড়ার জেলাশাসক কে রাধিকা আইয়ার, খাদ্য নিয়ামক আধিকারিক এবং বিডিওদের উদ্দেশে একগুচ্ছ নির্দেশিকাও দেন মুখ্যমন্ত্রী।
বলেন, কিষান মান্ডিতে সিসিটিভি লাগাতে হবে। সেগুলো সচল থাকছে কি না তার দিকেও নজর রাখতে হবে। ধান বিক্রির মেশিনগুলি নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে। প্রয়োজনে কলকাতা থেকে সার্টিফাই করিয়ে আনতে হবে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ জমা করতে হবে ব্লক সহায়তা কেন্দ্রে। ৭ দিন অন্তর সেই অভিযোগ সংগ্রহ করবেন বিডিও বা জেলাশাসকরা। প্রয়োজনে সারপ্রাইজ ভিজিট করবেন তাঁরা।
Be the first to comment